আজ- ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার  সকাল ৬:২৫

প্রেমের টানে নেপাল থেকে টাঙ্গাইলে তরুণী

 

দৃষ্টি নিউজ:

প্রেমের টানে সুদূর নেপাল থেকে টাঙ্গাইলের সখীপুরে ঘর-সংসার করতে এসেছেন সানজু কুমারী খাত্রী (২০) নামে এক তরুণী। প্রায় চার বছর ধরে মালয়শিয়ায় একটি কোম্পানীতে কাজ করার সময় সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের হুমায়ুন মিয়ার ছেলে নাজমুল ইসলামের সঙ্গে চেনা-জানা হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর প্রেমিক যুবকের সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন। ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। প্রায় ১৫ দিন আগে নেপাল থেকে তারা একসঙ্গে বাংলাদেশে আসেন। এ সংবাদ পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে নবদম্পতিকে দেখার জন্য মানুষ ভির করছে।

সরেজমিনে ওই বাড়তে গিয়ে দেখা যায়, বাঙালি পোশাকে স্বাভাবিক গৃহকর্ম করছেন নেপালীয়ান তরুণী। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সানজু কুমারী থেকে তার নাম রাখা হয়েছে মোছা. খাদিজা আক্তার। তিনি বাঙালি আচার-আচারণ ও পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করলেও ভাষাগত কিছু সমস্যা রয়েছে। মেয়েটি বাংলা ভাষা বোঝেন কিন্তু বলতে কিছুটা সমস্যা হয় বলে জানান নাজমুল। নেপালী আদালতেও তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তারপর টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে ‘কোর্ট ম্যারেজ’ করেন এবং স্থানীয় এক নিকাহ রেজিস্ট্রার দিয়ে সামাজিক রীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন করহ য়। নেপালের কাঠমুন্ডু শহরে মেয়েটির বাড়ি, সেখান থেকে পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন করে নাজমুলের হাত ধরে বাংলাদেশে আসেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে খাদিজা আক্তারের নেপালী ভাষার অনুবাদ করে নাজমুল বলেন, বাংলাদেশর সংস্কৃতি ও গ্রাম্য পরিবেশ তার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নাজমুলকে অনেক ভালোবাসেন। তিনি আর নেপালে ফিরে যাবেন না।

নাজমুল ইসলাম বলেন, একটি হিন্দু মেয়ে ভালোবেসে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে আমাকে বিয়ে করেছে এবং দেশত্যাগ করে বাংলাদেশে এসেছে। আমি ওর প্রতি কৃতজ্ঞ। সবার কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাই।
নাজমুলের বাবা হুমায়ুন মিয়া বলেন, ছেলের বউ দেখে আমরা খুব খুশি হয়েছি। ওদের আনন্দেই আমরা আনন্দিত।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno