আজ- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার  সকাল ৯:১৬

ফারুক আহমদ হত্যা মামলার তৃতীয় দফার সাক্ষ্যগ্রহণ ॥ পরবর্তী তারিখ ১৮ এপ্রিল

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে এমপি রানাকে হাজির করা হয়। বুধবার(২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে বিচারাধীন এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহন শুরু করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক মামলার বাদি নাহার আহমদের আংশিক জেরা সমাপ্ত করেন বেলা ১টায়। পরে আদালত আগামি ১৮ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নি¤œ আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী মনিরুল ইসলাম খান জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলার বাদি নিহত ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহমেদ, ছেলে আহমদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমদ মিথুনের হাজিরা নেয়া হয়। এছাড়াও কারাগারে আটক আসামী আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও মো. সমিরকে আদালতে হাজির করা হয় এবং জামিনের থাকা অপর তিন আসামী মাসুদুর রহমান, ফরিদ আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিন নুরু আদালতে হাজির হয়। এরআগে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে সকাল ১১টায় আদালতে আনা হয়। মামলার অন্যতম আসামি এমপি আমানুর রহমান খান রানা উপস্থিত হলে বুধবার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালেরত বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এজলাসে উঠেন। পরে তৃতীয় দফায় ফারুক আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও বাদির জেরা শুরু হয়। আদালতে মামলার বাদি ও নিহতের স্ত্রী নাহার আহমদের জেরা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আদালত বাদির আংশিক জেরা গ্রহণের পর আগামি ১৮ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে এবং ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা ও তার তিনভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
আমি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের শিকার : এমপি রানা
টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানা বুধবার(২১ মার্চ) তাঁর উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহন শেষে আদালত থেকে বেড়িয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেন, এটা একটা প্রহসনমূলক, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। এ ধরণের প্রহসনমূলক ও মিথ্যা মামলা চলতে পারেনা। কড়া পুলিশ প্রহরায় এ সময় তিনি আঙ্গুল উঁচিয়ে বলেন, আমি জেলা আওয়ামীলীগের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের শিকার।
বাইরে আ’লীগের বিক্ষোভ
টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় তৃতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহনকালে আদালতের বাইরে জেলা আওয়ামীলগের নেতাকর্মীরা এমপি রানা সহ সংশ্লিষ্ট আসামিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান(ছোট মনির) এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে তারা জেলা সদরের সৌখিন মৎস্য শিকারী সমিতির খোলা স্থানে অবস্থান করে এবং দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।
প্রকাশ, বুধবার(২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়ে বেলা ১টা পর্যন্ত চলে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno