প্রথম পাতা / ছবি /
বন্যা পিছু ছাড়ছেনা আহাতন বেওয়ার!
By দৃষ্টি টিভি on ১৮ জুলাই, ২০২০ ৭:৫১ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
প্রমত্ত্বা যমুনার ভাঙনে দশবার বাড়ি সরিয়েছেন। এতে ভিটা-বাড়ি হারিয়ে এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নের সড়কের ঢালে সরকারি জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন আহাতন বেওয়া। কিন্তু সেখানেও রাক্ষুসী যমুনার পানি ঢুকে ঘর তলিয়ে গেছে।
ছেলে-ছেলের বউরা সড়কের ওপর আশ্রয় নিলেও তিনি বাড়িতেই মাচাঁ উচু করে বাস করছেন। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের মরহুম শুকুর আলীর স্ত্রী আহাতন বেওয়া।
এক সপ্তাহ হল বন্যার পানিতে ভাসছেন তিনি, কিন্তু কোন ত্রাণ সহায়তা তো দূরের কথা- কেউ দেখতে পর্যন্ত আসেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা বিধৌত গাবসারা ইউনিয়নসহ গোবিন্দাসী, অজুর্না ও নিকরাইল ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম যমুনার পানিতে প্লাবিত। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল।
বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে গৃহস্তরা বিপাকে পড়েছেন। উচু স্থানে আশ্রয় নেয়া জায়গায়ও পানি উঠে পড়েছে। বানের কারণে খুবই মানবেতর জীবন-যাপন করছে বন্যার্ত পরিবারগুলো।
জানাগেছে, যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় ভূঞাপুর, কালিহাতী, গোপালপুর ও সদর উপজেলার প্রায় দুইশ’ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে চরম কষ্টে দিন-রাত পাড় করছেন বন্যা কবলিতরা।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে গো-খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবারের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এদিকে, যমুনার পানির চাপে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের কয়েকটি স্থানে লিকেজ দেখা দিয়েছে।
এছাড়া ভূঞাপুর উপজেলার তারাই এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলে জরুরি সংস্কার কাজ করছে। এছাড়া নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় বেশ কিছু এলাকার কাঁচা-পাঁকা সড়ক ভেঙে গেছে।
ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী-ভালকুটিয়া সড়কের চার অংশে ভেঙে কয়েক গ্রামের সাথে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিকল্প হিসেবে ওই গ্রামের মানুষ নৌকাযোগে যমুনা নদী হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
অপরদিকে, শুক্রবার(১৭ জুলাই) বিকালে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আতাউল গনি ভাঙন ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ভূঞাপুর উপজেলা প্রশাসন চলতি বর্ষা মৌসুমে বন্যা পরিস্থিতিতে খাদ্য সহায়তা ও বন্যায় বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের ৭জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে হটলাইন চালু করেছে।
গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের আহাতন বেওয়া, সমেলা ও বাবলুসহ অনেকেই বলেন, বন্যার পানিতে ভাসছি কয়েকদিন হল। কেউ খোঁজ নেয়নি। কোন ত্রাণ সহায়তা তারা পায়নি। থাকার মত কোন জায়গাও নেই। এর উপর সাপ ও পোকা মাকড়ের ভয়তো রয়েছেই।
গোবিন্দাসীর ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, তার ওয়ার্ডে চার শতাধিক পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গেল বন্যায় দশ কেজি চালের ১৩টা টোকেন পেয়েছিলেন। বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে গেছে। এতে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও তথ্য সেবা কর্মকর্তা জলি রাণী দাস বলেন, পুরো উপজেলার কোন তথ্য তাদের কাছে নেই। কয়েকটি ইউনিয়নের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
টাঙ্গাইল জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
-
বাসাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
-
ভূঞাপুরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে রাজমিস্ত্রী নিহত
-
ধনবাড়ীতে পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফসহ আসামি ছিনতাই
-
টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায় মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা
-
কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাই নিহত
-
ভূঞাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
-
গোপালপুরে স্বামীর নির্যাতনের বলি গৃহবধূ