আজ- ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রবিবার  বিকাল ৪:১৩

বাসাইলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২১৭ বস্তা চাল উধাও

 

‌দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২১৭ বস্তা চাল উধাও হওয়ার ঘটনা ফাঁস হয়েছে। সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে ওই ইউনিয়নের ডিলার নাছরিন ও পাপনের স্টোর রুম থেকে চাল বিতরণের সময় বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়। ফুলকী ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল আলম বিজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


ফুলকী ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল আলম বিজু জানান, সোমবার ১০ টাকা কেজির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী উপকারভোগীরা চাল নিতে আসেন।

এসময় কয়েকজন ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে চালের বস্তা গণনা করলে নাছরিনের স্টোর রুমে ৩০ কেজি ওজনের ১৩০ বস্তা ও পাপনের স্টোর রুমে ৮৭ বস্তা চাল কম পাওয়া যায়।


তিনি জানান, ২১৭ বস্তা চাল দুই ডিলার মালিক বিক্রি করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এঘটনায় চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে। তারা চাল আবার স্টোরে তোলার পর বিতরণ করা হবে। চাল উধাওয়ের বিষয়টি ইউএনও এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ডিলার নাছরিন ও পাপনের কাছে বেশ কিছু উপকারভোগীর কার্ড রয়েছে বলেও জানান তিনি।


স্থানীয়রা জানায়, নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী উপকারভোগীরা ময়থা বাজার এলাকা ও ফুলকী পশ্চিমপাড়া বাজার এলাকায় চাল আনতে যায়। এসময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে কয়েকজন ইউপি সদস্যসহ আরও কয়েকজনে মিলে চালের বস্তার হিসাব নেন।

এসময় তারা ময়থা উত্তরপাড়া এলাকার ডিলার নাছরিন বেগমের স্টোর রুমে ১৩০ বস্তা ও ফুলকী পশ্চিমপাড়া বাজার এলাকায় জাকির হোসেন পাপনের স্টোর রুমে ৮৭ বস্তা চাল কম পাওয়া যায়। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান এসে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন। গণণা চলাকালে ওই দুই ডিলাম মালিক কৌশলে সটকে পড়েন বলে তারা জানান।


চাল নিতে আসা জশিজাটী গ্রামের নজরুল, একঢালার আশরাফ আলী, আইসড়া গ্রামের দুলালী রাজ বংশী ও কনিকা রাজ বংশীসহ একাধিক উপকারভোগীর অভিযোগ, নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী চাল নিতে আসেন।

কিন্তু ডিলারদের স্টোরে সব চাল জমা না থাকায় তাদের চাল দেওয়া হয়নি। তারা প্রায় দেড়শ’ টাকা খরচ করে চাল নিতে এসেছিলেন। ৩০০ টাকার চালে তাদের যাতায়াতে বাড়তি খরচ হচ্ছে দেড়শ’ টাকা। এখন আবার দুইবার যাতায়াতে তাদের খরচ হবে ৩০০টাকা।


বাসাইল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কনক কান্তি দেবনাথ জানান, চাল উধাও হয়নি। গোড়াইয়ের মাশাফি এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজে পুষ্টিচাল মিশানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে তারা চালের বস্তা কম দিয়েছে।

এজন্য ওই ডিলারদের স্টোরে ২১৭ বস্তা চাল কম হয়েছে। ডিলারদের কাছে ট্যাগ অফিসার ও খাদ্য পরিদর্শককে পাঠানো হয়েছে। ডিলাদের জালিয়াতি প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


তবে গোড়াই মাশাফি এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, তার ওখান থেকে সমস্ত চাল তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা চালের একটি বস্তাও কম দেননি। চাইলে তাদের চালান কপি দেখাতে পারবেন।


এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পারভিন জানান, বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যন তাকে জানিয়েছেন। তিনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে সরেজমিন পরিদর্শনে যেতে বলেছি। উনি পরিদর্শন শেষে রিপোর্ট দিলে নীতিমালা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno