প্রথম পাতা / অপরাধ /
মধুপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন
By দৃষ্টি টিভি on ৪ অক্টোবর, ২০১৭ ৬:১০ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে ও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে হাটখোলায় সপ-লাইসেন্সকৃত(একসনা বন্দোবস্ত) তিনটি দোকান উচ্ছেদ করাসহ অন্যগুলো উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছেন। উপরন্তু সপ-লাইসেন্সগুলো ব্যবসায়ীরা যাতে নবায়ন করতে না পারেন সেজন্য ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে বুধবার(৪ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন, টাঙ্গাইল-১(মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সপ-লাইসেন্সকৃত দোকান মালিক খন্দকার আনোয়ারুল হকসহ ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, মধুপুর মৌজাস্থ ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৩২৯, ৩৩০, ৩৩১ নং দাগ জমি পেরীফেরীভুক্ত ভূমি। ওই ভূমির মালিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক। বিগত ২০০০ সাল থেকে এ হাটের প্রতিবছর নবায়ন পূর্বক একসনা বন্দোবস্ত(সপ-লাইসেন্স) প্রদান করে জেলা-উপজেলা প্রশাসন। বর্তমানে ওই হাটে সপ লাইসেন্সকৃত দোকান রয়েছে প্রায় ৪৬টি।
সম্মেলনে জানানো হয়, মধুপুর পৌরসভার ওই হাটটি উপজেলা প্রশাসনের আওতাথীন। হাটের প্রতিটি দোকানের বন্দোবস্তও প্রদান করেছে উপজেলা প্রশাসন। এতদ স্বত্তেও হাটের বন্দোবস্তকৃত দোকান উচ্ছেদের বিধি-বিধান, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পৌর মেয়র সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ও ব্যক্তি স্বার্থে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে হাটের তিনটি দোকান উচ্ছেদ করেছেন। বর্তমানে হাটের উত্তর দিকের মাছ বাজার সংলগ্ন আরো ৬টি দোকান নতুন করে উচ্ছেদের অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের লক্ষে পৌর মেয়র ওই হাটের ব্যবসায়ীদের দোকান পরিচালনার ট্রেড লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ তাদের। উপজেলা প্রশাসনের আওতাধীন ওই হাটে পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ ও জবরদখল নিয়ে হতাশ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনাও করেছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে মধুপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদ পারভেজ বলেন, তার বিরুদ্ধে উপস্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পেরীফেরীভুক্ত জমির উপর নির্মাত এই হাট। হাটের দোকান লীজ বা বন্দোবস্ত দেয়া জেলা প্রশাসনের কাজ। একসনা বন্দোবস্ত(সপ-লাইসেন্স) হিসেবে ওই সকল দোকান পরিচালনার অনুমতি দেন উপজেলা প্রশাসন। প্রতি বছর নবায়ন করে ব্যবসা পরিচালনা করেন বন্দোবস্ত প্রাপ্তরা। পৌরসভা শুধু হাট ইজারা ও ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে থাকে। হাটের দোকান উচ্ছেদ করাও পৌর মেয়র বা পৌরসভার কাজ নয়। তবে এ হাটে ওমেনস মার্কেট নির্মাণের জন্য এলজিইডি একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে নকশা প্রনয়ণ করেছে। জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ও বাংলাদেশের অর্থায়নে এই মার্কেটি নির্মাণ করা হবে। ওই প্রকল্পের জন্য নির্মিত নকশায় সপ লাইসেন্সকৃত কয়েকটি দোকানও পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সপ-লাইসেন্সকৃত দোকান মালিক মো. আব্দুল রারেক। তাকে সহায়তা করেন, সাবেক সাংসদ খন্দকার আনোয়ারুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী মো. রাশেদ ও রবিউল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায় মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা
-
কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাই নিহত
-
ভূঞাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
-
গোপালপুরে স্বামীর নির্যাতনের বলি গৃহবধূ
-
৬ জুন বাজেট দেব- বাস্তবায়নও করব :: প্রধানমন্ত্রী
-
মির্জাপুরে সাপের কামড়ে দুই গৃহবধূর মৃত্যু
-
টাঙ্গাইলে তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা সমাপ্ত
-
টাঙ্গাইলে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস পালিত