প্রথম পাতা / ছবি /
মির্জাপুরে ২৮ কমিউনিটি ক্লিনিকে জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ
By দৃষ্টি টিভি on ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ৭:৪৬ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় বন্যার পানি কমলেও ২৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকে এখনও জলাবদ্ধতা থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
বন্যা কবলিত কমিউনিটি ক্লিনিকে জলাবদ্ধতা থাকায় কর্মরত চিকিৎসক, পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় ঝুঁকির নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
শুক্রবার(২৩ অক্টোবর) বন্যা কবলিত কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বন্যা ও বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্র জানায়, মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪টি ইউনিয়নে ৫৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসক, পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকার অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও মির্জাপুরে ৫৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ২৮টি ক্লিনিক এখনও বন্যা কবলিত। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক হচ্ছে মির্জাপুর
পৌরসভায় ২টি, মহেড়ায় ৩টি, জামুর্কিতে ২টি, ফতেপুরে ২টি, বানাইলে ৩টি, আনাইতারায় ৩টি, ওয়ার্শীতে ৪টি, ভাতগ্রামে ৩টি, বহুরিয়ায় ৪টি ও লতিফপুরে ২টি।
বন্যার পানি নিমজ্জিত এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত চিকিৎসক, পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা গত আড়াই মাস মাস ধরে নিজেদের উদ্যোগে নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
২৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকে বন্যার পানি প্রবেশ করায় এসব কেন্দ্রের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি এবং প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
উপজেলার ২নং জামুর্কি, ৩নং ফতেপুর, ৮নং ভাতগ্রাম এবং ৭নং বহুরিয়া ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে গিয়ে জানাগেছে বন্যা কবলিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
মির্জাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৫৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকের অধিকাংশই বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ।
গত আড়াই মাস ধরে ওইসব ক্লিনিকে কর্মরত চিকিৎসক, পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে রোগীদের পরামর্শ, সেবা ও ওষুধ দিচ্ছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ক্লিনিকগুলো সংষ্কারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মাকসুদা খানম বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ্দের জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
মধুপুরে বারোয়ারী মন্দির ও বনে অগ্নিকাণ্ডে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ!
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
-
মির্জাপুরে গভীর রাতে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
-
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস :: তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে- বেড়েছে হয়রানিও
-
করোনার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে নতুন উপসর্গ
-
নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৃত্যু শয্যায়
-
নাগরপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত
-
১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা