আজ- ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ সোমবার  সকাল ৬:৪৪

রাত পোহালেই খুশির ঈদ

 

দৃষ্টি নিউজ:


দিনক্ষণ আগেই নিধাির্রত হয়ে আছে। কোরবানির পশু কেনার পর্বও এরই মধ্যে সেরে ফেলেছেন অনেকে। প্রস্তুতির পালা প্রায় শেষ। এখন অপেক্ষা কেবল রাত পোহানোর। ভোরের আলো ফুটলেই ১০ জিলহজ। পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধমীর্য় উৎসব। সোমবার(২০ আগস্ট) পবিত্র হজ সম্পন্ন হয়েছে। মহান আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে আগামিকাল সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। ঘরে ঘরে মহান ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হবে মানুষের মন।
এবার কোরবানির ঈদ উদযাপন হচ্ছে ঠিক জাতীয় সংসদ নিবার্চনের ডামাডোল বেজে ওঠার ঠিক আগমুহূর্তে। তাই এ ঈদ রাজনীতিকদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। যদিও গত কয়েক মাস ধরেই গ্রামগঞ্জে নিবার্চনী বাতাস বইতে শুরু করেছে। সব রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রাথীর্রা নিজ নিজ নিবার্চনী এলাকায় ছুটে গেছেন। বিলবোর্ড-ফেস্টুন জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে মূলত সম্ভাব্য প্রাথীর্রা আগাম নিবার্চনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। সব মিলিয়ে এবার ঈদ হয়ে উঠেছে অনেকটা নিবার্চনী আমেজের। তবে ধমর্প্রাণ মুসলমানদের কাছে এসব কিছু ছাপিয়ে ধমীর্য় ভাবগাম্ভীর্য সবোর্চ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। আল্লাহর উদ্দেশে নিজের জানমাল ও প্রিয়তম জিনিস সন্তুষ্টচিত্তে বিলিয়ে দেয়ার সুমহান শিক্ষা নিয়ে তারা ঈদুল আযহা উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী কোরবানি করা ওয়াজিব।
আল কোরআনের সূরা কাউসারে কোরবানির মাহাত্ম্য সম্পকের্ বলা হয়েছে, ‘অতএব তোমার পালনকর্তার উদ্দেশে নামাজ পড়ো এবং কোরবানি করো।’ সূরা হজে বলা হয়েছে, ‘কোরবানি করার পশু মানুষের জন্য কল্যাণের নিদের্শনা।’
এ বিষয়ে মহান আল্লাহর ঘোষণা, ‘কোরবানির পশুর রক্ত-মাংস কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না বরং তার কাছে পৌঁছে শুধু তোমাদের ত্যাগ বা তাকওয়া’ (সূরা হজ : ৩৭)। তাই মহান আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য কোরবানির জন্য বিশুদ্ধ নিয়তের প্রয়োজন হয় এবং ত্যাগের প্রবল সাধনা থাকতে হয়। অধিকন্তু কোরবানির পশুর গোশত গরিব-অসহায় লোকদের দান করা শ্রেয়। এতে একদিকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অজর্ন করা যায়, অন্যদিকে সামাজিক বন্ধন সুসংহত হয়। আপাত দৃষ্টিতে কোরবানি বলতে পশু জবেহ হলেও এর মাধ্যমে অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে এবং সত্য-ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগ্রাম-সাধনার শক্তি সঞ্চারিত হয়। এ শিক্ষা নিয়ে আগামীকাল বুধবার দেশের মুসলমান সম্প্রদায় ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি করবে। সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়, ‘ওরে হত্যা নয় আজ সত্য-গ্রহ শক্তির উদ্বোধন।’ প্রকৃতপক্ষে কোরবানির ত্যাগের মাধ্যমে মানবিক-নৈতিক শক্তি ও সাহস অজির্ত হয়, যা দিয়ে অন্যায়-অপশক্তিকে পরাজিত করা যায়। একইভাবে ধৈযর্-ত্যাগের শিক্ষাও গ্রহণ করা যায়।
প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) নিজের ছেলে হজরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সেই ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের জন্য পশু কোরবানি করে থাকেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno