প্রথম পাতা / টপ সংবাদ /
সেতু আছে সড়ক নেই ॥ নির্মাণের দুই বছরেও কাজে আসছেনা সেতু
By দৃষ্টি টিভি on ২৭ অক্টোবর, ২০১৯ ৫:২২ অপরাহ্ন / no comments
বুলবুল মল্লিক:
টাঙ্গাইলের নাগরপুর-আলোকদিয়া আঞ্চলিক সড়কে নোয়াই নদীর উপর প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি দুই বছরেও এলাকাবাসীর কোন কাজে আসেনি। মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় সেতুর সংযোগ সড়ক ও সড়ক নির্মাণ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি সেতু নির্মাণ হলেও তা কোন কাজেই আসছেনা।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে টাঙ্গাইলের নাগরপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আলোকদিয়া সড়কে নোয়াই নদীর উপর সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘসেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) উদ্যোগে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট দুই কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৩ টাকা ব্যয়ে ৭২.৬ মিটার দীর্ঘ ওই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজটি বাস্তবায়ন করে মেসার্স দাস ট্রেড্রার্স নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সেতুর মূল অংশের কাজ শেষ হলেও সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেতুর সংযোগ সড়ক থেকে বাইরে গিয়ে সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহন ছাড়াই এলাকাবাসীর জমির উপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে মামলায় জড়িয়ে পড়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকে সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং নির্ধারিত সময় পাড় হলেও কাজ আর এগোয়নি। এরপর থেকে ওভাবেই পড়ে রয়েছে সেতুটি।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল নোয়াই নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করার। দুই বছর ধরে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে অথচ কোন কাজেই আসছেনা। অপরিকল্পিতভাবে নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করায় সমস্যা হচ্ছে। ব্রিজটা যদি একটু কোণা-কোণীভাবে নির্মাণ করা হলে এমন সমস্যা হত না। তারা আরো জানায়, বর্তমান সরকার ব্রিজটি নির্মাণ করে দিয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও স্থানীয় যারা এ বিষয়টি দেখভাল করেছে তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজের সুফল তারা পাচ্ছেনা।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স দাস ট্রেডার্সের প্রতিনিধি দিলীপ কুমার সাহা জানান, ব্রিজের অ্যাপ্রোচ নির্মাণে মাটি ধরা ছিলনা। তাছাড়া স্থানীয় লোকজন মামলা দায়ের করে কাজ স্থগিত করে দেয়ায় কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম আজম জানান, ব্রিজে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ করার জন্য মাটির সংস্থান ছিলনা। পাশের জায়গা থেকে মাটির নিয়ে অ্যাপ্রোচ করার কথা। কিন্তু স্থানীয় কিছু লোক খাস জমি লিজ নিয়ে আবাদ করায় তারা মাটি কাটতে দেয়নি। এক পর্যায়ে মাটি কাটতে গেলে স্থানীয় লোকজন মামলা দায়ের করে। পরে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। মামলা জটিলতা সহ বিভিন্ন কারণে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা যায়নি। সংযোগ সড়ক নির্মাণে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
টাঙ্গাইল জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
-
বাসাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
-
ভূঞাপুরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে রাজমিস্ত্রী নিহত
-
ধনবাড়ীতে পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফসহ আসামি ছিনতাই
-
টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায় মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা
-
কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাই নিহত
-
ভূঞাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
-
গোপালপুরে স্বামীর নির্যাতনের বলি গৃহবধূ