প্রথম পাতা / ছবি /
স্থায়ী বাঁধের দাবিতে বঙ্গবন্ধু সেতু-ভূঞাপুর সড়ক অবরোধ
By দৃষ্টি টিভি on ১০ জুলাই, ২০২৩ ৭:১২ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
প্রমত্ত্বা যমুনার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে সোমবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু-ভূঞাপুর সড়কে মাটিকাটা বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ সৃষ্টি করে।
ফলে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ দুই কিলোমিটার এলাকায় যানচটের সৃষ্টি হয়। ভাঙনের শিকার কয়েকশ’ পরিবারের সদস্যরা প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরোধের পর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেয়।
ওই কর্মসূচিতে নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ডল ও কয়েকটি এলাকার ইউপি সদস্য সহ প্রায় চারশ’ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেয়। পরে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিকভাবে ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেয়।
স্থানীয় ভুক্তভোগী সোনা মন্ডল ও শফিকুল ইসলাম জানান, গত একমাস ধরে এই এলাকায় যমুনার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে তাদের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এ এলাকার অসংখ্য পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজ নিজ বাড়ি রক্ষায় তবদির করে জিওব্যাগ ফেলছে। এনিয়ে তারা কিছু বলতেও পারেন না। তারা এলাকার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
নিকরাইল পরিষদের ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ডল জানান, প্রতি বছর ভূঞাপুরের পাটিতাপাড়া, মাটিকাটা, কোনাবাড়ি, পলশিয়া, দোভায়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা যায়। এবারও ব্যাপকহারে নদীর তীর ভাঙছে। ফলে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে অনেকের ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙনরোধে দ্রুত সময়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা না হলে অচিরেই নদীতীরের ওই গ্রামগুলো বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন জানান, ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করছিল পাটিতাপাড়া এলাকার ভাঙন কবলিত মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাঙনরোধে তাৎক্ষণিকভাবে আরও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন। যারা বসতভিটা ও ঘর-বাড়ি হারিয়েছে তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া বিষয়টি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।
প্রকাশ, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে যমুনা নদীতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পানি বেড়ে ভূঞাপুর উপজেলায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বসত-ভিটা, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভাঙনে দিশেহারা পড়ে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
৬ জুন বাজেট দেব- বাস্তবায়নও করব :: প্রধানমন্ত্রী
-
মির্জাপুরে সাপের কামড়ে দুই গৃহবধূর মৃত্যু
-
টাঙ্গাইলে তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা সমাপ্ত
-
টাঙ্গাইলে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস পালিত
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
-
টাঙ্গাইলে আইসক্রিম ফ্যাক্টরীকে জরিমানা
-
মাসিক কবিতা আবৃত্তি ও স্বরচিত কবিতা পাঠ প্রতিযোগিতা
-
নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়তেই এ সফর :: ডোনাল্ড লু