প্রথম পাতা / ছবি /
‘কবর‘ থেকে যে যাত্রার শুরু
By দৃষ্টি টিভি on ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ৫:৫১ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি বিনোদন:
ক্ষণস্থায়ী জীবনের দীর্ঘ সময় দিয়েছেন অভিনয় জগতকে। সব কিছু ছেড়ে এখন তার দীর্ঘ যাত্রা কবর জীবন শুরু। যে কবরের মধ্য দিয়েই পা রেখেছিলেন অভিনয় জীবনেরও যাত্রা পথে। বিখ্যাত ‘কবর’ নাটকের মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে তার শুরু। শেষটা হলো করোনার ভয়ঙ্কর থাবায়। যদিও দীর্ঘদিন ভুগছিলেন ক্যান্সারে।
বিখ্যাত ও কালজয়ী কিছু কর্ম রেখে গেছেন আলী জাকের। ১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের রতনপুর ইউনিয়নে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই শব্দসৈনিকের। বয়স হলো মোট ৭৬ বছর।
১৯৭২ সালে তিনি আরণ্যক নাট্যদলের হয়ে মামুনুর রশীদের নির্দেশনায় মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটকটিতে প্রথম অভিনয় করেন। যার প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশনে।
১৯৭২ সালের জুন মাসের দিকে আতাউর রহমান ও জিয়া হায়দারের আহ্বানে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে যোগ দেন। ঐ দলে তিনি আতাউর রহমানের নির্দেশনায় ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন, যার প্রথম মঞ্চায়ন হয়েছিল ওয়াপদা মিলনায়তনে।
‘গ্যালিলিও’ নাটকের মঞ্চে আলী যাকের১৯৭৩ সালে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে তিনি প্রথম নির্দেশনা দেন বাদল সরকারের ‘বাকি ইতিহাস’ নাটকে, যা ছিল বাংলাদেশে প্রথম দর্শনীর বিনিময়ে নাট্য প্রদর্শনীর যাত্রা।
আলী যাকের এরপর টিভি নাটকে ব্যস্ত হন। পান অসীম জনপ্রিয়তা। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ নাটকে তার চরিত্রগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে আকাশছোঁয়া। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও।
তবে মঞ্চের সঙ্গে তার সংযুক্তি ছিলো আমৃত্যু। ছিলেন দারুণ সঞ্চালকও। দীর্ঘ সময় তিনি এই কাজটি সফলতার সঙ্গে করেছেন চ্যানেল আই ও বাংলাভিশনের পর্দায়।
আলী যাকের অভিনয়ের পাশাপাশি দেশীয় বিজ্ঞাপনশিল্পের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্বও বটে। বাংলাদেশের শীর্ষ বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি-এর কর্ণধার ছিলেন তিনি।
শিল্পকলায় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেছেন।
‘গ্যালিলিও’ নাটকের মঞ্চে আলী যাকের ও আসাদুজ্জামান নূর এক সাক্ষাৎকারে আলী যাকের জানিয়েছেন, নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের জন্য বিশ্বখ্যাত বিদেশী নাটকের বাংলা রূপান্তর আর নাটক নির্দেশনা এসব কাজে আলী যাকের ব্যস্ত ছিলেন।
১৯৭৩ সালে ঐ দলে যোগ দেন সারা যাকের, যাকে শুরুতে চোখেই পড়েনি আলী যাকেরের! একটি নাটকের প্রদর্শনীর আগের দিন একজন অভিনেত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে সারা যাকেরকে দেওয়া হয় চরিত্রটিতে অভিনয় করতে।
আলী যাকেরের ওপর দায়িত্ব পড়ে চরিত্রটার জন্য তাকে তৈরি করার এবং খুব দ্রুত চরিত্রটির সাথে নিজেকে মানিয়ে নেন সারা যাকের। এই প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে যান আলী যাকের।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
-
তিন দিন কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত-শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
-
পথ-ঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রক্ত রঙের ছড়াছড়ি!
-
ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বহিষ্কার
-
ঘাটাইলে বজ্রপাতে হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু
-
মধুপুরে বারোয়ারী মন্দির ও বনে অগ্নিকাণ্ডে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ!
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
-
মির্জাপুরে গভীর রাতে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা