প্রথম পাতা / অর্থনীতি /
বাসাইলের ঝিনাই নদীতে দুটি সেতু নির্মাণের দাবি
By দৃষ্টি টিভি on ২১ এপ্রিল, ২০১৮ ৯:৪৯ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ঝিনাই নদীতে দুটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এর একটি কাঞ্চনপুরের কাজিরাপাড়ায়। অন্যটি কাশিলার কেবিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে। এই দুই এলাকায় সেতু না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চার উপজেলার হাজার হাজার মানুষ।
টাঙ্গাইল এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে দেলদুয়ারের নাটিয়াপাড়া থেকে বাসাইলের কাঞ্চনপুর সড়কের ঝিনাই নদীর ওপর ১০৮ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট ভোরে বালু বহনকারী একটি ট্রলারের ধাক্কায় ওই সেতুর একটি পিলার ও ওপরের কিছু অংশ ভেঙে যায়। এরপর সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একই সালে কাশিল-নাটিয়াপাড়া সড়কের ঝিনাই নদীতে সেতু নির্মাণ করা হয়। প্রায় চার বছর ব্যবহারের পর সেতুটির পিলারের নিচের মাটি সরে গিয়ে এর একটি অংশ ভেঙে যায়। ফলে এখানেও যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতু না থাকায় লোকজন নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। এতে জনপ্রতি ভাড়া দিতে হচ্ছে পাঁচ টাকা। বাসাইলের কাঞ্চনপুর ও কাশিলের ঝিনাই নদীতে সেতু না থাকায় বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর। এ ছাড়াও মির্জাপুর, দেলদুয়ার, সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার জনসাধারণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। প্রতিদিন নৌকায় পাড় হতে হচ্ছে মির্জাপুরের আদাবাড়ি গহর আলী উচ্চ বিদ্যালয়, বাসাইলের কাঞ্চনপুর এলাহিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা, কাঞ্চনপুর গোলাম রব্বান খান উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিল কেবিএন উচ্চ বিদ্যালয়, কাশিল আব্দুল খালেক আব্দুল কাদের দাখিল মাদ্রাসা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। এই সেতুর ওপর দিয়েই এলাকার কৃষকরা তাদের কৃষিপণ্য স্থানীয় কাঞ্চনপুর ও হাবলা বাজারে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা আক্ষেপ করে জানায়, কত ইঞ্জিনিয়ার মাপজোক করলো কিন্তু সেতু নির্মাণ হলো না! তাছাড়া কোমলমতি শিশু-কিশোররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নৌকায় স্কুলে যাতায়াত করছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে নদটি পাড় হতে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। অথচ প্রতিদিন দুটি নৌকা দিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
বাসাইল বাজারের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে বিপুল পরিমাণ সবজি উৎপন্ন হয়। সেতু হলে পণ্য আনা-নেওয়া সহজ হতো এবং এলাকার মানুষ উপকৃত হতো।’
বাসাইল উপজেলা প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘কাশিল, কাঞ্চনপুরসহ দাপনাজোর সেতুর প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত পেয়ে যাব।’
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
ধনবাড়ীতে ভোট কেন্দ্র তছনছ ॥ ভীমরুলের আক্রমণে আহত ৩৫
-
মধুপুরে বাবার ভোট দিতে গিয়ে ছেলে আটক
-
ট্রান্স-এশিয়ান রেলপথ নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে দেশ
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মলিকুলার বেসিস অফ ডিজিস : বায়োকেমিক্যাল পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনার
-
কালিহাতীতে কাভার্ডভ্যান-ট্রাক সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত
-
টাঙ্গাইলে ধান ক্ষেত থেকে কঙ্কাল উদ্ধার
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
-
তিন দিন কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত-শিলাবৃষ্টির শঙ্কা