প্রথম পাতা / টপ সংবাদ /
মৃত্যুর ৫০ বছর পরেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চালু
By আল আমিন on ১০ আগস্ট, ২০১৬ ১২:৩৩ অপরাহ্ন / no comments
বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি। মারা গেছেন প্রায় ৫০ বছর আগে। তবুও ব্যাংকে তার অ্যাকাউন্ট চালু রয়েছে। মাঝেমধ্যেই এতে টাকা জমা দেন সাধারণ মানুষ।
পাটনা শহরের এগজিবিশন রোডের পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক-পিএনবির শাখায় অ্যাকাউন্টটি চালু আছে। রাজেন্দ্র প্রসাদের বর্তমান অ্যাকাউন্ট নম্বর ০৩৮০০০০১০০০৩০৬৮৭।
১৯৬২ সালের ২৪ অক্টোবর এটি শুরু হওয়ার সময়ে তার নম্বর ছিল ৩০৬৮। খাতার নম্বর পাল্টেছে। আজও সেই খাতায় ১০০ টাকা থেকে ৫০১ টাকা জমা হয় মাঝে মাঝেই। জমা করেন আম-জনতা।
পিএনবির সিনিয়র ব্যাংক ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার বলেন, এই অ্যাকাউন্টটি সাবেক রাষ্ট্রপতির মারা যাওয়ার পরেও চালু রয়েছে। এখনো টাকা জমা হয় এই অ্যাকাউন্টে। দিন কয়েক আগেও টাকা জমা হয়েছে। ব্যাংকের পাশবুকে এখনো রাজেন্দ্র বাবুর ছবি রয়েছে। সেখানে পরিচয় হিসেবে লেখা রয়েছে, ‘ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি’। ঠিকানা-সদাকত আশ্রম, পাটনা। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর নিয়ে রাজেন্দ্রবাবু পাটনার সদাকত আশ্রমে চলে আসেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন। বেঁচে থাকতে রাজেন্দ্রবাবু নিজে এই শাখায় এসে টাকা জমা দিতেন।
সঞ্জয় কুমারের কথায়, বর্তমানে অ্যাকাউন্টে ৭ হাজার ৩৩০ টাকা রয়েছে। তবে রাজেন্দ্রবাবুর অ্যাকাউন্টে কারা টাকা জমা করেন সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষও জমাকারীদের বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারেননি। তবে সঞ্জয় বলেন, আমাদের গ্রাহকও হতে পারেন। কর্মচারিরাও হতে পারেন। আমরা এখানে ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি ‘ডিসপ্লে’ করে রেখেছি। তা দেখে অনেকেই ওই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেন।
আসলে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া রাজেন্দ্র প্রসাদের ওই অ্যাকাউন্টটিকে ডিপোজিটার এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়্যারনেস ফান্ড (ডেফ অ্যাকাউন্ট) হিসেবে ঘোষণা করেছে। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালিত না হওয়া অ্যাকাউন্টের জমা টাকা শিক্ষা ও সচেতনতার কাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। সেই অনুযায়ী রাজেন্দ্র প্রসাদের এই অ্যাকাউন্টটিকেও ওই তালিকায় ফেলা হয়েছে। এখানে জমা টাকা দেশের শিক্ষার উন্নয়নে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সরকারি এই সিদ্ধান্তে আপত্তি নেই রাজেন্দ্র প্রসাদের পরিবারের সদস্যদেরও। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নাতনি তারা সিংহ বলেন, আমাদের পরিবার ওই অ্যাকাউন্টের মালিকানার দাবি জানায়নি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এখন তাঁরা ওই টাকা যদি শিক্ষার উন্নতিতে ব্যবহার করে তবে তা আনন্দের কথা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
তিন দিন কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত-শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
-
পথ-ঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রক্ত রঙের ছড়াছড়ি!
-
ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বহিষ্কার
-
ঘাটাইলে বজ্রপাতে হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু
-
মধুপুরে বারোয়ারী মন্দির ও বনে অগ্নিকাণ্ডে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ!
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
-
মির্জাপুরে গভীর রাতে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
-
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস :: তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে- বেড়েছে হয়রানিও