আজ- ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  সকাল ৬:৫৬

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে হামুন- রাতেই আঘাত হানতে পারে :: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

 

দৃষ্টি নিউজ:

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় হামুন আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ (HAMOON) আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।


এটি মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শেষরাত থেকে সকাল নাগাদ (২৫ অক্টোবর ২০২৩) মেঘনা মোহনার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারী (৮৯ মি.মি.) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।


অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কি.মি. পর্যন্ত বাড়ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।


পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।


উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৫ নম্বর বিপদ সংকেতে আওতায় থাকবে।


এদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। ঘূণিঝড়টি আজ (মঙ্গলবার) রাত ১০টা থেকে আগামিকাল (বুধবার) সকাল ১০টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে।


বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ/ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ায় প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বাস্তবায়ন বোর্ডের এ জরুরি সভা ডাকা হয়। এ সময় এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের ক্ষেত্রে ১০টি জেলাকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মনে করছি। আজ রাত ৮টার মধ্যে দুর্গত এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।


তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি আজ রাত ১০টা থেকে আগামিকাল সকাল ১০টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে রক্ষা করতে ১০টি জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno