আজ- ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ সোমবার  রাত ৩:৫৮

এমপিরা কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না :: ইসি আলমগীর

 

দৃষ্টি নিউজ:

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর সাফ বলে দিয়েছেন, একজন সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকায় অবশ্যই যেতে পারবেন। তবে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।


তিনি বলেন, ভোটের দিন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা কেন্দ্রে গিয়ে অবশ্যই তার ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু কোনো প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে যেতে পারবেন না। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে টাঙ্গাইল জেলার তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


ইসি বলেন, যে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে- সেখানে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে অথবা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকে, তাহলে সেখানে যে প্রিজাইডিং অফিসার আছেন, তিনিই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন। তিনি যদি কোনো কারণে বন্ধ করতে না পারেন অথবা কারো সঙ্গে তার আঁতাত হয়ে যায় যে বন্ধ করবেন না- সেক্ষেত্রে আমাদের যারা রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার থাকবেন, তারাই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন। আর এমন যদি হয়, উপজেলা নির্বাচনের কোনো কেন্দ্রেই নির্বাচন সুষ্ঠু করা যাচ্ছে না- তাহলে পুরো নির্বাচনটাই বন্ধ করে দিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।


তিনি বলেন, যদি কোনো প্রার্থী বা তার সমর্থক অন্য কোনো প্রার্থী বা সমর্থককে আক্রমণ করেন, আগুন জ্বালিয়ে দেন বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেন। যেগুলোকে ফৌজদারি অপরাধ বলে- সে বিষয়ে শাস্তি আরও কঠিন হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণবিধি যথেষ্ট না, আরও নির্বাচনী আইন আছে। সেই আইনের অধীনে ফৌজদারি অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের অফিসার এবং পুলিশও মামলা করতে পারবেন। আমাদের অনুমতির প্রয়োজন হবে না।


ইসি আলমগীর বলেন, এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাই থাকবে- শুধু সেনাবাহিনী থাকবে না। সেনাবাহিনী শুধু জাতীয় নির্বাচনে রাখা হয়। জাতীয় নির্বাচন সারা দেশে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কম থাকে- সেজন্য সেনা মোতায়েন করা হয়। উপজেলা নির্বাচন কয়েকটি ধাপে হবে। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরি সদস্য আমরা অনুমোদন দিয়েছি।


তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন এক ধরনের বিষয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আরেক ধরনের বিষয়। জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক পরিচয় থাকে। সেই নির্বাচনে সরকারের পরিবর্তন হতে পারে, নাও হতে পারে। কিন্তু স্থানীয় নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা প্রার্থী হন ভোটাররা তাদের চেনেন, আবার প্রার্থীরাও ভোটারদের চেনেন।


টাঙ্গাইলের জেলা রপ্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। এসময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমানসহ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno