আজ- ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার  রাত ৯:৫৩

টাঙ্গাইলের সাত স্থানে মহাষ্টমীর পূণ্যস্নানে হাজারো মানুষের ঢল

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলার সাত স্থানে মহাষ্টমীর পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহাষ্টমীর পূণ্যস্নান উপলক্ষে ওইসব এলাকায় মেলা ও পূজার্চ্চণার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ওই পূণ্যস্নান ও মেলায় অংশ নেয়।


জানাগেছে, জেলার সাতটি জায়গায় অনুষ্ঠিত মহাষ্টমীর পূণ্যস্নানের মধ্যে রয়েছে- মধুপুরের বংশাই নদীতীর, গোপালপুর উপজেলার বৈরাণ নদীর পালপাড়া, ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ী এলাকাস্থ যমুনা নদীতীর, কালিহাতী উপজেলা সদরে ঝিনাই(ফটিকজানী) নদীতীর- নারান্দিয়া লৌহজং নদীতীর ও এলেঙ্গা বাজারস্থ নিউ ধলেশ্বরী নদীতীর এবং মির্জাপুর উপজেলা সদরস্থ বংশাই নদীতীর।


শনিবার(৯ এপ্রিল) ভোর থেকে ওইসব এলাকায় পূণ্যার্থীরা ভীর করে। তারা পূজার্চ্চণা, পূণ্যস্নান ও মেলায় অংশ নেয়। মহাষ্টমীর পূণ্যস্নানকে ঘিরে সকাল থেকে মেলা বসে।

মেলায় মিষ্টি জাতীয় খাবার, বাঁশ-বেতের তৈজসপত্র, মাটির তৈরি খেলনা, পুতুল, ঘোড়া, ট্রাক গাড়ি, হাড়ি-পাতিল, মাছের দোকান, চিড়া-মুড়ি, দইসহ দোকানীরা নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন।

পূণ্যস্নানে আসা মানুষ সৃষ্টিকর্তার কাছে বিভিন্ন মানত ও দেশবাসীর জন্য শান্তি কামনায় পূজা অর্চনার মাধ্যমে প্রার্থনা করে থাকে।


টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ী এলাকায় যমুনা নদীর তীরে তিনশ’ বছরের পুরানো শ্রী শ্রী কালী মন্দির সংলগ্ন ঘাটে পূণ্যস্নান ও মেলার আয়োজন করা হয়।

এদিকে, কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়ায় মহাষ্টমীর গঙ্গাঁ স্নান উৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন লৌহজং নদীতীরে পাপ মোচনের আশায় শ’ শ’ ভক্ত পূণ্যস্নান ও পূজা অর্চনা করেন। দৌলতপুর গ্রামবাসী ওই স্নান উৎসবের আয়োজন করে। তাদের সহযোগিতায় ছিল নারান্দিয়া ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদ।


স্নান করতে আসা ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের সাবেক প্রভাষক সুহাষ চন্দ্র সরকার বলেন, যমুনার ‘পূণ্যস্নান’ এখন তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে পূণ্যার্থীরা তাদের মনবাসনা পূরণের জন্য স্নান করতে আসছে।


পূণ্যস্নানে অংশ নেওয়া সাধন দাস, রঞ্জিত কর্মকার, সুবীরসহ অনেকেই বলেন, ‘নদীর তীরের নতুন জলে অষ্টমীর স্নান করেছি- পূজা দিয়েছি। মহাষ্টমীতে এখানে স্থানীয় লোকজনসহ দূর-দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ মেলা দেখতে আসে।


পূণ্যস্নান কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পাপ মোচঁনের আশায় যমুনা নদীতে পূণ্যস্নান করতে আসেন। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এবারের স্নান উৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।


ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, পূণ্যস্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘাট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। যমুনা নদীতে পূণ্যস্নান উৎসবে হাজার হাজার পূণ্যার্থীর ঢল নেমেছিল।


প্রকাশ, দীর্ঘদিন ধরে চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে এ পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কেউ কেউ এটাকে গঙ্গাঁ স্নানও বলে থাকেন। প্রতিবছর এদিনের দুপুরে কালী পূজা ও কীর্তন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। পাপ মুক্ত হয়ে পূণ্য লাভ ও মনোবাসনা পূরণের আশায় ভোর থেকে হাজার হাজার পূণ্যার্থী পূজার্চ্চণা ও প্রার্থণা করে থাকেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno