আজ- ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  রাত ১১:০১

টাঙ্গাইলে কালীমন্দিরের জমি বিক্রির অভিযোগ!

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের সদুল্লাপুরে হিন্দুদের দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত কালীমন্দির ও শ্মশানের জমি বেদখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে একটি মহল। মন্দিরের জায়গা বিক্রি করে নির্মাণ করা হয়েছে দেয়াল। সম্প্রতি আদালত বিবাদমান ওই জমিতে দু’পক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা (স্থিতাবস্থা) বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সদুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এসএ-৪৪৬ নং খতিয়ানের ৪৩৩ দাগ ও খতিয়ানের হাল রেকর্ড ৫২৯ দাগের ১৯ শতাংশ জমি ওই গ্রামের অধ্যাপক কালীপদ রায় গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য শ্মশানঘাট ও কালীমন্দির স্থাপনের জন্য দান করেন। কালীপদ রায়ের ভাই দীপন রায়ও ওই জমিদানে সম্মতি দেন। এরপর থেকে ওই জমিতে কালীমন্দির নির্মাণ করে পূজা সম্পাদন ও শ্মশানঘাটে মরদেহের সৎকার চলছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ‘জাল’ দলিলের মাধ্যমে ওই জমি বিক্রি ও বেদখল করছে।

এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কাছে গত ১৪ জানুয়ারি এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ আবেদন করে। আবেদনের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়। কিন্তু তাতেও কোন সুফল পায়নি এলাকাবাসী।

মন্দির কমিটি বাদী হয়ে স্থ’ানীয় সুনীল কুমার রায়, ফজল হক, আব্দুর রাজ্জাক প্রামানিক, হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, মাজিদুর রহমান প্রমুখকে অভিযুক্ত করে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার এএসআই ইসরাফিল মিয়া গত ১২ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানান, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটান কিংবা ঘটনোর চেষ্টা করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক পিন্টু সরকার বলেন, দীর্ঘ ২০০ বছরের পুরানো মন্দিরে এলাকাবাসী নিয়মিত পূজা-পার্বণ করে আসছে। বিভিন্ন সময় সরকারি দান-অনুদান ও স্থানীয়দের চাঁদার টাকা দিয়ে মন্দির সংস্কারও করা হয়েছে। কিন্তু মন্দিরের জায়গা অবৈধভাবে বিক্রি করে মন্দিরের পাশে দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। মূল অভিযুক্তদের সাথে যুক্ত হয়েছেন স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী। আমরা প্রতিকার চেয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছি।

স্থানীয় অমিত দাস বলেন, মন্দিরের জায়গা অবৈধভাবে বিক্রি করার প্রতিবাদ করায় আমাদের চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মন্দির সংলগ্ন জমির ক্রেতা ফজলুল হক বলেন, আমরা সুনীল কুমার রায়ের কাছ থেকে এ জায়গা কিনে নিয়েছি। শুনেছি জায়গাটি এ গ্রামের কালিপদ বাবুর ছিল। তিনি ভারতে চলে গেছেন।

অভিযুক্ত সুশীল কুমার রায় বলেন, যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে তা আমাদের পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া। জাল দলিল করার কোন প্রশ্নই উঠেনা। আমরা রেকর্ডকৃত সম্পত্তি বিক্রি করেছি।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno