টাঙ্গাইলে ব্যতিক্রম মেলায় ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই শিশু!

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলে ব্যতিক্রমী এক মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার ক্রেতা ও বিক্রেতা সবাই ছিল শিশু। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ব্যতিক্রম ওই শিশুমেলার আয়োজন করে টাঙ্গাইল পৌরসভার হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুল। প্রতিষ্ঠানটির আয়োজনে অভিভুত শিশু-অভিভাবক সবাই।

শহরের হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতার ভূমিকায় ছিল শিশুরা। ওই মেলায় একাধিক স্টলে শিশুরা বিভিন্ন খাবার ও খেলনা সামগ্রী নিয়ে বসেছে। তবে মেলার স্টলে সাজানো খাবার সামগ্রীগুলো বিনামূল্যে অন্যান্য শিশুরা সংগ্রহ করছে।

মেলায় শিশুরা মেতে ওঠে আনন্দে-উল্লাসে। তাদের পড়নে ছিল শাড়ি সহ রঙ-বেরঙের পোশাক। দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খোলার শুরুতে এমন আয়োজন দেখে শিশু শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মুগ্ধ হয়েছে অভিভাবকরাও।

ব্যতিক্রম ওই মেলায় জিলাপি, আকরি, চিনি সাঁজ, কদমা, চিতই পিঠা, তেলের পিঠা, পুলি পিঠা, খাজা, পোড়াবাড়ির চমচম, মাটির খেলনা, হাঁড়ি-পাতিলসহ নানা সামগ্রীর পসরা নিয়ে বসে আনন্দে দোকান করছে শিশুরা। সেই সামগ্রীই আবার কিনছে স্কুলেরই সহপাঠীরা। মেলার পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অভিভাবকসহ শিল্পী হিসেবে শিশুরাই অংশ নেয়। ব্যতিক্রম এ মেলায় অতিথিও ছিল শিশুরা।

তোরা, আরিয়া, মিথিলাসহ কয়েকজন শিশু বলেন, ‘আমাদের স্কুলে মেলা হচ্ছে। মেলায় আমরা অনেক মজা করছি।’
অভিভাবক সামিমা সিথি বলেন, ‘বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যতিক্রম এ আয়োজনে আমরা অভিভুত। দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মন ভালো ছিল না।

এমন আনন্দের প্রয়োজন ছিল। বিদ্যালয় খুলতেই এমন আয়োজন দেখে শিশুরা অনেক খুশি হয়েছে।’ যান্ত্রিক আর প্রতিযোগিতার বাজারে বেড়ে উঠা শিশুদের মানসিক বিকাশে এমন আয়োজন আরও হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী জানান, তারা বরাবরই শিশুদের জন্য ব্যতিক্রম আয়োজন করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ব্যতিক্রমী মেলার এ আয়োজন করা হয়। করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিশুরা তাদের বাসায় দীর্ঘদিন আবদ্ধ ছিল।

এ কারণে শিক্ষার্থীদের অন্য বন্ধু বা সহপাঠীদের সাথে মেশার সুযোগ ছিলনা। সেই সুযোগ সৃষ্টি ও একটু বিনোদনের জন্য ওই আয়োজন। সহপাঠীর সঙ্গে শিশুদের বন্ধুত্বপূর্ণ ভালোবাসা সৃষ্টির লক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শিশু দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য তারা ওই শিশুমেলার আয়োজন করেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে