আজ- ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  বিকাল ৪:১৫

তিন স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দু’জনের স্বীকারোক্তি

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে বনের ভেতর বেড়াতে যাওয়া এক বান্ধবী ও দুই বন্ধুকে গাছের সাথে বেধে নবম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দু’জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার(২৮ জানুয়ারি) বিকালে দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তারা পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া একই দিন দুপুরে ধর্ষিতা তিন স্কুলছাত্রী ও তাদের অপর এক বান্ধবী টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন মাহবুব ও ফারজানা হাসনাতের কাছে পৃথকভাবে নিজেদের জবানবন্দি প্রদান করেন। টাঙ্গাইলের সরকারি কৌশুলী(পিপি) এস আকবর খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের সাতকুড়া এলাকায় সোমবার(২৬ জানুয়ারি) রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, ঘাটাইল উপজেলার দিগর ইউনিয়নের মানাঝি টানপাড়া গ্রামের আনছার আলী খানের ছেলে ইউসুফ আলী খান(২৭), সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবুল হোসেন(২১) ও একই গ্রামের জব্বার আরীর ছেলে সবুজ ওরফে বাবু(৩০)।

পিপি এস আকবর খান আরো জানান, টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের কাছে ধর্ষক বাবুল হোসেন এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের কাছে ধর্ষক ইউসুফ আলী খান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রকাশ, রোববার(২৬ জানুয়ারি) ঘাটাইল এসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দোয়া ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। সকালে ওই চার ছাত্রী স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। বের হয়ে তারা চার বান্ধবী পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দুপুর দেড়টার দিকে তারা ঝড়কা বন এলাকায় পেঁছলে তাদের সাথে বন্ধু হৃদয় ও শাহীন যোগ দেয়। পরে তারা অটোরিক্সাযোগে সাতকুয়া এলাকায় গেলে ৫-৭জন ব্যক্তি তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় তাদের বন্ধু হৃদয় ও শাহীনকে মারধর করে এবং তিনজনকে বনের অন্যত্র নিয়ে ধর্ষণ করে। অপর একজনকে ভাগ্নির মতো দেখা যায় বলে তাকে ধর্ষণ করা থেকে বিরত থাকে। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটকে রেখে ওই তিনছাত্রীকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই চার ছাত্রী তাদের একজনের নানীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে তারা পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে।

সোমবার(২৭ জানুয়ারি) ধর্ষিত তিনজনের মধ্যে এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৫-৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno