আজ- ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  সকাল ১০:১৯

দেলদুয়ারে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধ নিহত

 

দৃষ্টি নিউজ:

dristy.tv pi-28
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইলে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রোববার(৩০ এপ্রিল) বিকালে প্রতিপক্ষের আঘাতে সানা মোহন ঘোষ (৭২) নামে এক বৃৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সানা মোহনের মৃত্যুর পর স্বজনরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রতিপক্ষের লোকজন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপণ করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পাথরাইল গ্রামের সানা মোহন ও চৈতন্য রায়ের সাথে কিছুদিন ধরে রাস্তার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। নরেন্দ্র ঘোষের ছয় শতাংশ জমি ক্রয় করে চৈতন্য রায়। শর্ত থাকে এক হাত বরাবর রাস্তা থাকবে। নরেন্দ্র ঘোষ এক হাত রাস্তাও দিয়েছেন। চৈতন্য বর্তমানে নরেন্দ্র ঘোষের বড় ভাই সানা মোহন ঘোষের কাছে গাড়ি প্রবেশের মতো অতিরিক্ত জায়গা দাবি করায় বিরোধের সূত্রপাত হয়। এদিকে এক হাতের বেশি জায়গা রেখে সানামোহন ঘোষ বাড়িতে পাকা ঘর নির্মাণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় রোববার(৩০ এপ্রিল) দুপুরে দেলদুয়ার থানা পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌসসহ গণ্যমান্যরা জায়গাটি পরিদর্শন ও বিরোধ মিমাংসা করতে ঘটনাস্থলে যান। আলোচনার এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এসময় চৈতন্য উত্তেজিত হয়ে সানা মোহনকে শারীরিকভাবে আঘাত করে। এতে তিনি আহত হন। আহতাবস্থায় তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মেয়ে বাসন্তি ঘোষ, স্ত্রী দুলালী ঘোষ, নাতী বিপ্লব ঘোষ বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী সিমানা নির্ধারণ করে গেছেন। সেমতে এক হাতের অধিক হাঁটার রাস্তা রেখে পাকা ঘর তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু চৈতন্য ক্ষমতার দাপটে গাড়ি প্রবেশের রাস্তা চেয়ে আসছে। রোববার দুপুরে পুলিশ ও ভাড়াটে লোক এনে জোড় পূর্বক রাস্তা বাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে। এ সময় দেলদুয়ার থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইয়াসিন আরাফাত রাস্তা বাড়ানোর পক্ষে থাকায় সাহস পেয়ে যায় চৈতন্য রায়। সে উগ্র হয়ে সানা মোহন ঘোষকে আঘাত করলে তিনি আহত হয়ে হাসপাতালে মারা যান।
পাথরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফুজ্জামান লিটন জানান, এরআগে তিনি জায়গাটা পরিদর্শন করে এক হাতের বেশি রাস্তা রাখার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কথা অনুসারে রাস্তা রেখেছিল। রোববার হঠাৎ উপজেলা থেকে লোকজন আসার পরই এ ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে দেলদুয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আমি শুনেছি সে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তবে প্রতিবেশীদের চলাচলের জন্য আরেকটু রাস্তা রাখলে ভালো হত।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশাররফ হোসেন জানান, সিমানা নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ চলছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে থানা পুলিশ গিয়েছিল। তবে মৃত্যু ব্যাপারে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno