আজ- ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার  রাত ৪:৩০

নাগরপুর থানায় ওসি নিরাপত্তাহীন, সাধারণ ডায়েরি

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. মাইন উদ্দিন নিজের নিরাপত্তা চেয়ে নিজেই তার কর্মস্থল নাগরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এক নারীকে মারধরের মামলায় আটককৃত আসামিদের ছেড়ে না দেয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক তারেক শামস খান হিমু ওসিকে হুমকি দেন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণেই তিনি জিডি করেছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, নাগরপুরের বারাপুষা গ্রামের অঞ্জনা নামে এক নারী গত ১২ জুলাই তার স্বামীর সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে চলে যান। কয়েকদিন পর ১৭ জুলাই তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে আবার বাড়ি ফিরে আসেন। এ ঘটনায় বেকড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নুরু মিয়া ও স্থানীয় কিছু মাতব্বর ওই নারীর ওপর ‘চরিত্র খারাপ’- এর অভিযোগ এনে গত ২০ জুলাই তার বিরুদ্ধে সালিশী বৈঠক বসায়। সালিশী বৈঠকে অঞ্জনার স্বামী-সন্তানকে বেদম মারপিট করা হয়। অঞ্জনা ভয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেন। পরে আসামিরা ঘরের দরজা ভেঙে ওই নারীকে বেদম মারপিট করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে নাগরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং মারধরের ঘটনায় জড়িত নুরু মেম্বার, ওয়াজেদ আলী, হারেজ মিয়া ও শাহজাহানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃত চারজন ও একই এলাকার কালাম, সিরাজ এবং রবিসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ছেড়ে দেয়ার জন্য তারেক শামস খান হিমু নাগরপুর থানার ওসিকে গত ২০ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইলে ফোন দেন। ফোন দিয়ে ওসিকে ধমক দিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ দেন। ওসি এ সময় বিনয়ের সাথে আইনী ব্যাখ্যা দিয়ে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তখন উত্তেজিত হয়ে হিমু বলেন, ‘আমি পৃথিবীর সব বুঝি। আমাকে ব্যাখ্যা দিবেন না। আমি বলছি ছেড়ে দিবেন। না ছাড়লে অসুবিধা হবে। আমি আপনাকে দেখে নিব’।
ওসি মাইন উদ্দিন সাধারণ ডায়েরিতে আরো উল্লেখ করেন, ওই আওয়ামী লীগ নেতা মাঝে মধ্যেই মাদক মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ দেন। তার এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দেন ও তাদের গ্রেপ্তার না করার জন্য তদবির করেন। গত কয়েক মাস আগে ‘রাথুরার মেলা’য় পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের আস্তানা গুড়িয়ে দিলে হিমু তার প্রতিবাদ করেন ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিষেধাগার করেন।
এ প্রসঙ্গে তারেক শামস খান হিমু জানান, ওসিকে আমি হুমকি দেইনি। গ্রেপ্তারকৃতদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তাছাড়া মাদক মামলায় আটক এমন কারো জন্য আমি কখনও তদবির করিনি। ওসি এগুলো মিথ্যা বলেছেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno