প্রথম পাতা / অর্থনীতি /
পার্ক বাজারে এক নারীর দোকান উচ্ছেদের মৌখিক নির্দেশ!
By দৃষ্টি টিভি on ১৪ জুন, ২০২০ ৯:১০ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজারে বৈধ চুক্তিপত্র থাকার পরও কোন প্রকার লিখিত নোটিস ছাড়াই ঝুনু বেগম নামে এক নারী দোকানীকে উচ্ছেদের মৌখিক নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার(১১ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) উপমা ফারিসা এ মৌখিক নির্দেশ দেন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনায় প্রভাবে মানুষ যখন জীবন-জীবিকা নির্বাহে হিমসিম খাচ্ছে, তখন এ ধরণের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া পার্ক বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি করেছে।
জানাগেছে, পার্ক বাজারের দক্ষিণ দিকের প্রবেশ মুখে ৫২০ নং দোকানটি(১৫ বর্গমিটার) ২০১৫ সালে ঝুনু বেগমের নামে সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বিগত পাঁচ বছর যাবত ঝুনু বেগম ওই দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
দোকানের ট্রেড লাইসেন্স, বিদ্যুৎ বিল সহ প্রয়োজনীয় সব দলিল-পত্র ঝুনু বেগমের নামে রয়েছে। এমনকি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কৃষি পণ্যের ব্যবসা/ পেশা পরিচালনার লাইসেন্স রয়েছে তার।
এ বছর হঠাৎ করে কোন প্রকার লিখিত নোটিস ছাড়া তাকে দোকান ছাড়ার মৌখিক নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঝুনু বেগম বলেন, এ জায়গাটি খালি ছিল। বরাদ্দ পাওয়ার পর নিজে টাকা ব্যয় করে ঘর তুলেছি। হঠাৎ করে করোনা মহামারির সময় দোকান ছাড়ার মৌখিক নির্দেশ পেয়ে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। একজন মহিলা হয়ে জীবনের প্রয়োজনে দোকান করে সংসার চালাচ্ছি। এখন কীভাবে সংসার চলবে সেটা ভেবে পাচ্ছি না।
নোটিসের কথা শুনে স্বামী আমাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন সর্বক্ষেত্রে মহিলাদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে, সেখানে কেন আমার দোকান বরাদ্দ বাতিল করে অন্যজনকে দেয়া হলো- তা বুঝতে পারছি না।
লিখিত নোটিস চাওয়ার পরও আমাকে দোকান ছাড়ার কোন প্রকার লিখিত নোটিস দেয়া হয়নি।
পার্ক বাজারের দোকানী সামছুল হক বলেন, গত ৪০ বছর ধরে পার্ক বাজারে ব্যবসা করে আসছি। কোন দিন এই ধরণের মৌখিক নির্দেশে দোকান মালিককে উচ্ছেদ করতে দেখিনি। একজন মহিলাকে বিনা নোটিসে উচ্ছেদ সঠিক হচ্ছে না। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
টাঙ্গাইল পার্ক বাজার কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল বারেক মিঞা বলেন, পার্ক বাজার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে সভা করে ঝুনু বেগমের দোকান বরাদ্দ বহাল রাখার জন্য রেজ্যুলেশন করে অ্যাসিল্যান্ড অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।
তারপরও কেন দোকান ছাড়ার মৌখিক নির্দেশ দেয়া হলো- বুঝতে পারছিনা। লিখিত নোটিস পেলেই আমরা আইনগত লড়াই করবো।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) উপমা ফারিসা বলেন, দোকান বরাদ্দ দেয়া হয় বছর ভিত্তিক। প্রতি বছর চুক্তি নবায়ন করা হয়। এ বছর চুক্তির বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারণে ঝুনু বেগমের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
তিনি নিজে দোকান না করে ভাড়া দিয়েছেন- যা চুক্তির পরিপন্থি। তারপরও যদি তিনি নবায়নের জন্য আবেদন করেন, সেটা বিবেচনা করে দেখা হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
তিন দিন কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত-শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
-
পথ-ঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রক্ত রঙের ছড়াছড়ি!
-
ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বহিষ্কার
-
ঘাটাইলে বজ্রপাতে হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু
-
মধুপুরে বারোয়ারী মন্দির ও বনে অগ্নিকাণ্ডে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ!
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
-
মির্জাপুরে গভীর রাতে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
-
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস :: তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে- বেড়েছে হয়রানিও