আজ- ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ সোমবার  রাত ১০:৪২

প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা উঁচু করে চলার শপথ নিল দেশবাসী

 

দৃষ্টি নিউজ:

গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের ৫০ বছরে পা রেখেছে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের এদিন মুক্তিকামী জনতার কাছে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ইতিহাসের এই দিনেই দুই পক্ষ বসে বাঙালির বিজয়ের দলিলে সই করে। সেই দিনটির ৫০ বছর পূর্তির সমাপনী অনুষ্ঠান হল বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর)।

অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে দেশবাসীও শপথবাক্য দৃপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় মঞ্চে ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা।


জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে এই সমাপনী উৎসবের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায়।


বিজয় দিবসের দিনে দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রী সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের যে শপথ পাঠ করালেন তা হলো:-


‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না- দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’


শপথ অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী প্রবেশের পরপরই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের আটটি বিভাগের বিভাগীয় জেলা, জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম ও বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করেন।


এরপর আধাঘণ্টা বিরতি দিয়ে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিরতিতে ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের নেতা মুজিবর…’ গানটি গেয়ে শোনান শিল্পীরা।


অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা। এছাড়া অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ছয়টায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এরপর প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ খান।


অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে মুজিব চিরন্তন শ্রদ্ধা স্মারক তুলে দেন শেখ রেহানা। এরপর অতিথিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং সভাপতির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


এরপর দেশবরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতির অনুষ্ঠান।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno