আজ- ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  সকাল ৬:৩২

বাসাইলে স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ :: তিনদিন পর থানায় মামলা

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ডুমনী বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির একছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তার স্বজনদের অভিযোগ ঘটনার তিন দিন পর শনিবার(৫ আগস্ট) মামলা নিয়েছে পুলিশ।
মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনায় ধর্ষকের সহযোগী সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের শাকিল ও মাসুদ নামে দুইজনকে আটক করা হলেও মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তাদের পুলিশ ছেড়ে দেয়। মেয়েটিকে শনিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষিতার পরিবার জানায়, গত ১ আগস্ট সকালে স্কুলে যাওয়ার পর পাশের সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আশিকের নেতৃত্বে ২-৩জন যুবক মেয়েটিকে প্রথমে বাসাইল হয়ে নলুয়ার মুস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরের দিন দেলদুয়ার উপজেলার পেরাকজানী গ্রামে মেয়েটির এক আত্মীয়র বাড়ির সামনে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। মেয়েটির বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে তাকে ২ আগস্ট কল্যাণপুরের বাড়িতে নিয়ে আসে। স্বজনদের অভিযোগ, ৩ আগস্ট(বৃহস্পতিবার) সকালে বাসাইল থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মেয়ে ও মেয়ের বাবাকে পুলিশ থানায় রাখে বলেও অভিযোগ করে ধর্ষিতার পরিবার। পরে শনিবার(৫ আগস্ট) মামলাটি রেকর্ড করে ধর্ষিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শনিবার সকালে সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আশিক (১৮) কে মুল আসামী এবং আশয়দাতা মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫) ও তার স্ত্রী ইতি বেগমের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হয়েছে।
ধর্ষিতা মেয়েটির মা বলেন, আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে আশিকসহ তিনজনে তুলে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বাসাইল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নানা অজুহাত দেখিয়ে মামলা রেকর্ড করেনি। পরে তিনদিন পর মামলাটি রেকর্ড করে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় দুই সহযোগীকে শুক্রবার(৪ আগস্ট) আটক করা হলেও রাতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
ধর্ষিতার দাদা বলেন, নাতনীর কাছে শুনেছি তাকে তিনজনে ধর্ষণ করেছে, এই ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠিন বিচার চাই। ধর্ষিতার চাচা অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনার পর ধর্ষকের পরিবার আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমরা আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দেখতে চাই।
ধর্র্ষিতার স্কুল শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমরা এই ঘটনার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরুল ইসলাম খান বলেন, এ ঘটনায় শনিবার সকালে একটি মামলা হয়েছে। মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সকালে টাঙ্গাইল পাঠানো হয়েছে। টাকা নিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno