আজ- ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার  ভোর ৫:৩৪

বাসে ধর্ষিত প্রতিবন্ধী নারীকে নিতে এসেছে পরিবার

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনের কাছে বাসে একা পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষিত প্রতিবন্ধী ওই নারী যাত্রীর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া উপজেলার মিরপুর উপজেলার কুড়িফল গ্রামে। রোববার(২ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিতার ভাই খবর পেয়ে তাকে নিতে এসেছেন।
ধর্ষিতার ভাই জানান, গত ঈদের পরদিন ২৩ আগস্ট ঢাকার খিলগাঁও বাসা থেকে তার বোন বের হয়ে যায়। এর পর থেকে আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন খিলগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। শনিবার(১ সেপ্টেম্বর) রাতে খিলগাঁও থানা পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি তার বোনকে নিতে এসেছেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, ধর্ষিতা ওই প্রতিবন্ধি নারী মাঝে মধ্যে তাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায় থাকত আবার ঢাকার খিলগাঁও বাসায় বসবাস করত। তিনি গত ২৩ আগস্ট ঢাকার খিলগাঁও বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে তার ভাই তাকে নিতে এসেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আদালতের নির্দেশে ওই নারীকে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। আদালতের পরবর্তী আদেশ পেলে তাকে তার ভাই ও পরিবারের হেফাজতে দেয়া হবে। এর আগে এ ঘটনায় আটককৃত চালকের সহকারী নাজমুল শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর ওই নারী টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুগামী বাসটিতে ওঠেন। পথিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অন্য সব যাত্রীরা নেমে যায়। সেতুর পূর্ব প্রান্তের বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছার পর ওই নারীকে একা পেয়ে চালক আলম খন্দকার ধর্ষণ করেন। এসময় নাজমুল বাসের দরজায় দাঁড়িয়ে থেকে পাহারা দেন।
শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর আবেদন করা হয়। আদালত তাকে গাজীপুরের পুবাইলে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব প্রান্তে টহলরত পুলিশ দল ওই এলাকার নৈশপ্রহরী শাহ আলমের মাধ্যমে জানতে পারে যে, বাস স্ট্যান্ডে একটি বাসের ভিতর নারীর কান্না শোনা যাচ্ছে। এ খবর পেয়ে ওই টহলদল বাসটিতে গিয়ে প্রতিবন্ধী এক নারীকে উদ্ধার করে। এসময় ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ওই বাসের চালকের সহকারী নাজমুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন (শুক্রবার) বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব থানার এসআই নুরে আলম বাদি হয়ে বাসের চালক আলম খন্দকার ও আটককৃত নাজমুলকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় চালক আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে ওই নারীকে ধর্ষণ এবং সহকারী নাজমুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নাজমুলকে ওই মামলায় টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। এসময় তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিকুজ্জামান তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ শেষে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno