আজ- ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  দুপুর ১:৫৬

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রোববার(২৭ আগস্ট) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।


আদালত এদিন টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন খারিজের আদেশ বহাল রেখে আদেশ দেন। এদিন আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।


গত ১৯ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য গোপন করে জামিন আবেদন করায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় আদালত। বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


সহিদুর রহমান খান গত এপ্রিলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে জামিন আবেদন করেন। এই আবেদন বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত মাসে জামিন চেয়ে আরেকটি আবেদন করেন। জামিন চেয়ে আগে করা আবেদনের তথ্য দ্বিতীয় আবেদনে তিনি উল্লেখ করেননি।


রাষ্ট্রপক্ষ তথ্য গোপনের বিষয়টি তুলে ধরলে শুনানি নিয়ে আদালত সহিদুর রহমান খানের জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।


প্রকাশ, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।


২০১৪ সালে গোয়েন্দা পুলিশ এই হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা এবং মোহাম্মদ আলী নামে দুই জনকে েেগ্রপ্তার করে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে এই হত্যাকান্ডে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসে।


তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে সংসদ সদস্য আমানুর রহমান ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। বিচারিক আদালতে মামলার সাক্ষীদের সাক্ষগ্রহন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno