মায়ের পরকীয়া প্রেমিকের শাস্তি চায় শিশু তানহা

দৃষ্টি নিউজ:

মা-বাবাকে একত্রে দেখার বাসনা ও মায়ের পরকীয়া প্রেমিকর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিশু মাইমুনা আক্তার তানহা। মাইমুনা আক্তার তানহা সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামের সুলতান মাহমুদের মেয়ে। বৃহস্পতিবার(১২ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তানহা ওই অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন। এসময় মাইমুনা আক্তার তানহার বাবা সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাইমুনার আক্তার তানহা জানান, তিনি একজন নাবালিকা। তার মা মোছা. শাহনাজ আক্তার (৩৩) বাসাইল উপজেলার বর্ণী কিশোরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার বাবা প্রবাসে থাকাকালে (২০০৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত) মায়ের পূবালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে(হিসাব নং-৩৪২৫১০১০৪৩৪২০) ৫৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭২ টাকা পাঠিছেন। এ ছাড়া মাকে তার বাবা বিভিন্ন সময়ে মোট ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও সখীপুর মৌজায় জমি কিনে দিয়েছেন এবং তার নানার বাড়িতে দুটি টিনের ঘরও নির্মাণ করে দেন।

তিনি জানান, তার বাবা বিদেশে থাকা অবস্থায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরদিঘুলিয়া গ্রামের হাসান মাষ্টারের ছেলে মনিরুজ্জামান মামুনের(মাসুম) সাথে তার মা মোছা. শাহনাজ আক্তারের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানার পর তার মাকে ওই সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে বলায় তাকে একাধিকবার মারধর করে। নানাভাবে বুঝিয়েও কোন লাভ হয়নি। গত ৮ নভেম্বর তার মা নগদ ২০ লাখ টাকা ও ১৬ বড়ি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে এবং তার ছোট ভাই আদিল আহানাফকে(আড়াই বছর) নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বিভিন্ন এলাকা এবং আত্মীয়ের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে তিনি ও তার বাবা জানতে পারেন তার মা মোছা. শাহনাজ আক্তার পরকীয়া প্রেমিক মনিরুজ্জামানের সাথে পালিয়ে গেছে। বিষয়টি টাঙ্গাইল-৮(সখীপুর-বাসাইল) আসনের এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, ৩০ নং বর্ণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন করেও কোন সুরাহা পাননি। পরে তার বাবা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাসাইল থানা আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন।

তানহা আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করার পর থেকে মনিরুজ্জামান মামুন বিভিন্ন সময় নানা মাধ্যমে তাদেরকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তিনি মানুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি মাকে ফিরে পেতে চান। মাকে নিয়ে পূর্বের ন্যায় যেন তারা সংসার করতে পারেন সেই প্রত্যাশা করেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে