প্রথম পাতা / অপরাধ /
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা :: এমপি রানার উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত
By দৃষ্টি টিভি on ২০ মার্চ, ২০১৮ ১০:০৫ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চার বার পেছানোর পর মঙ্গলবার(২০ মার্চ) দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে সোমবার(১৯ মার্চ) বিকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে কারা অ্যাম্বুলেন্সে করে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে টাঙ্গাইল কারাগারে আনা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এমপি রানাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। পরে সাক্ষ্য গ্রহণ ও বাদির জেরা শুরু হয়।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মামলার প্রধান আসামি এমপি আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালেরত বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এজলাসে ওঠেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও বাদির জেরা শুরু হয়। আদালতে মামলার বাদি ও নিহতের স্ত্রী নাহার আহমদকে জেরা করা হয়। এছাড়া আরও দুই সাক্ষী নিহতের ছেলে আহমদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমদ মিথুনের হাজিরা আদালতে দাখিল করা হয়। পরে আদালত বাদির আংশিক জেরা গ্রহণের পর আগামিকাল বুধবার(২১ মার্চ) এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
কারাগার থেকে এ মামলার প্রধান আসামী এমপি রানাসহ টাঙ্গাইল কারাগারে থাকা আরো তিন আসামি মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান রাজা ও সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদ আদালতে হাজিরা দেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এদিকে, এ মামলার আসামী এমপি রানাসহ অন্যান্য আসামিদের শাস্তির দাবিতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এ আদালতেই আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ এর আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিন্ম আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় কারো নামোল্লেখ না করে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে এবং গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা ও তার তিন ভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মলিকুলার বেসিস অফ ডিজিস : বায়োকেমিক্যাল পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনার
-
কালিহাতীতে কাভার্ডভ্যান-ট্রাক সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত
-
টাঙ্গাইলে ধান ক্ষেত থেকে কঙ্কাল উদ্ধার
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
-
তিন দিন কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত-শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
-
পথ-ঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রক্ত রঙের ছড়াছড়ি!
-
ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বহিষ্কার
-
ঘাটাইলে বজ্রপাতে হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু