প্রথম পাতা / অপরাধ /
স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তান-এর নামফলক!
By দৃষ্টি টিভি on ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ ৪:৩২ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব ইস্ট পাকিস্তানের টাঙ্গাইল শাখার নাম ফলকটি পরিবর্তন করা হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানাগেছে, ১৯৬৮ সালের ১৮ মে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব ইস্ট পাকিস্তানের টাঙ্গাইল শাখাটি উদ্বোধন করেন, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের অর্থ মন্ত্রী ড. মির্জা নূরুল হুদা। এরপর ১৯৭১ সালের নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। তারপর দেশের সকল ব্যক্তিগত, স্বায়ত্বশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ব সকল সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়।
নবগঠিত বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৭২ সালে অধ্যাদেশ জারি করে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং ব্যাংক অব বাহাওয়ালপুরকে অধিগ্রহণ করে ‘সোনালী ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠিত করে। তখন থেকেই ন্যাশনাল ব্যাংক অব ইস্ট পাকিস্তান বিলুপ্ত হয়ে যায়। মহান স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও টাঙ্গাইলে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (ব্যাংক) অব ইস্ট পাকিস্তান- এর নাম ফলকটি পরিবর্তন বা সরিয়ে ফেলতে পারেনি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
গত ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বিষয়টি প্রথম সকলের নজরে আসলে সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম নুর মোহাম্মদকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তিনি সাথে সাথেই সেটিকে একটি কাগজ দিয়ে ঢেকে দেন এবং উর্র্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত নামফলকটি উঠিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে গত দেড় বছরেও নাম ফলকটি অপসারণ বা স্থায়ীভাবে ঢেকে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডিপুটি কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রম বলেন, মহান স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের টাঙ্গাইল শাখার নাম ফলক থাকে কিভাবে? তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের নাম ফলকটি দ্রুত অপসারণ করা না হলে আমরা আইন-আদালতে যাব।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনিসুর রহমান (দাদু ভাই) বলেন, টাঙ্গাইল সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরেও ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব ইস্ট পাকিস্তানের উদ্বোধনী নাম ফলকটি এখনো বিদ্যামান। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটা আমি মেনে নিতে পারি না। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কেন, কিভাবে এবং কি কারণে এই নাম ফলক এখনও রয়েছে? তিনি আরো বলেন, এটি কি ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের টাঙ্গাইল শাখা নাকি সোনালী ব্যাংক টাঙ্গাইলের প্রধান শাখা?
নামফলকটির বিষয়ে বর্তমান ডিজিএম মো. মুশাররফ হোসেন বলেন, এটিকে আমরা এখনই বোর্ড দিয়ে ঢেকে দিব। পরে অফিশিয়াল আদেশ তৈরি করে এটাকে অপসারণ করে ফেলা হবে। পরে একটি সাদা কাগজ দিয়ে তাৎক্ষণিক নাম ফলকটি ঢেকে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক মো. নূরুল আলম তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমাদের দৃষ্টি গোচরে ছিল না, আমরা আগামি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অফিসিয়ালি বিষয়টা সমাধান করে ফেলব।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
তিন দিন কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত-শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
-
পথ-ঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রক্ত রঙের ছড়াছড়ি!
-
ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বহিষ্কার
-
ঘাটাইলে বজ্রপাতে হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু
-
মধুপুরে বারোয়ারী মন্দির ও বনে অগ্নিকাণ্ডে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ!
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
-
মির্জাপুরে গভীর রাতে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
-
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস :: তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে- বেড়েছে হয়রানিও