প্রথম পাতা / অপরাধ /
গোপালপুরে মাহমুদপুর-পানকাতা গণহত্যা দিবস পালিত
By দৃষ্টি টিভি on ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১১:১৩ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের ‘মাহমুদপুর-পানকাতা গণহত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে ধনবাড়ী উপজেলার পানকাতা ইসলামীয়া হাইস্কুল মাঠে রোববার(৩০ সেপ্টেম্বর) আলোচনা সভা ও মিলাদ-দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গোপালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও অনুষ্ঠানের আয়োজক অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের তালুকদার। বক্তব্য রাখেন, গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মিনহাজ উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা তোরাপ আলী শিকদার, ধনবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাপ্তাহিক ত্রিমোহনা ঢেউ’র সম্পাদক সম জাহাঙ্গীর আলম, পানকাতা ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুফাখারুল ইসলাম লেবু, যুগান্তরের মধুপুর প্রতিনিধি এসএম শহীদ প্রমুখ।
স্থানীয় প্রশাসন এবং কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন দিবসটি পালনে উদ্যোগ এবং আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ না করায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গণহত্যার অনুষ্ঠানে টিআর, কাবিখা বা চাকুরি দেয়া-নেয়ার বিষয় নেই, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ পুঁজি করে যারা রাজনীতি করে খায়, সে সকল নেতা-কর্মীর এখানে অংশ গ্রহন নেই!’ গণহত্যা বিষয়ক আলোচনায় অংশ গ্রহণে কোন তাগিদ অনুভব না করায়, যারা মুক্তিযুদ্ধের সোলএজেণ্ট দাবিদার তাদের মধ্যে বোধোদয় ঘটবে।
বক্তারা আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন গণহত্যা দিবস পালন না করে উল্টো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় মাহমুদপুরে একটি সৌধ নির্মাণের দাবি জানান।
জানা যায়, ৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজাকার ও আলবদরদের সাথে নিয়ে মাহমুদপুর গ্রামে হামলা চালায়। বঙ্গবন্ধুর সহচর ও এমএনএ হাতেম আলী তালুকদারের বাড়িতে প্রথমে অগ্নিসংযোগ করার পর শুরু করে অসংখ্য বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট।
হানাদাররা চাতুটিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে পৌঁছলে পানকাতা হাইস্কুলে অবস্থান করা কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানী কমান্ডার হুমায়ুন বাঙালের নেতৃৃত্বে স্বল্পসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে মাহমুদপুর গ্রামের বটতলায় পাকিস্তানি হানাদারদের সাথে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে রসদ ফুরিয়ে যাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে হানাদার বাহিনীরা মা-বোনদের ইজ্জত লুন্ঠন ও নরহত্যা শুরু করে। তারা শতাধিক নিরীহ মানুষকে আটক করে পানকাতা গ্রামের ঈদগাঁহ মাঠে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। এতে ২৩ জন শহীদ এবং অবশিষ্টরা গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে পঙ্গু হয়ে এখনো অনেকেই বেঁচে রয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এমএনএ হাতেম আলী তালুকদারের কনিষ্ঠ ভ্রাতা হায়দার আলী তালুকদার ছিলেন অন্যতম।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয় :: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
-
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ
-
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন :: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
-
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়
-
টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত
-
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
-
বখাটেদের টাকা না দেওয়ায় প্রবাসীকে নিয়ে তুলকালাম!
-
শিক্ষাবিদ আব্দুল মোমেনের দাফন সম্পন্ন