প্রথম পাতা / ছবি /
বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কা!
By দৃষ্টি টিভি on ২১ মে, ২০১৯ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইল অংশের বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দের কারণে আসন্ন ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানাগেছে, যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ও বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দ বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে নিত্যদিনের ঘটনা। বিশেষ করে মহাসড়কের গাজিপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চারলেন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এ মহাসড়কে এবারও ঈদ যাত্রায় চরম যানজট ও ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে উত্তরবঙ্গসহ ২১ জেলার দূরপাল্লার যাত্রী ও গাড়ি চালকদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। যদিও ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা ও মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা নানা উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজিপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষকে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মহাসড়কে টাঙ্গাইল অংশে কদিমধল্যা, পাকুল্যা, নাটিয়াপাড়া, টাঙ্গাইল বাইপাস, ধেরুয়া, ঘারিন্দা বাইপাস, রসুলপুর ও এলেঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে ভরাট থাকায় গাড়িগুলো অনাকাঙ্খিত যান্ত্রিক ত্রুটির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে মহাসড়কে টাঙ্গাইলের নগরজালফৈ বাইপাস, ঘারিন্দা বাইপাস, রাবনা বাইপাস, পাছ বিক্রমাহটি, তারুটিয়া বাজার এলাকা খানা-খন্দে ভরপুর। একই সাথে মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এসব কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি বাড়ছে। যদিও এবার ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করণের সংস্কার ও নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। তবে রাবনা বাইপাস সহ বিভিন্ন স্থানে চার লেন প্রকল্পের কাজ চলায় রাস্তাগুলো সরু হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে নির্মাণাধীন আন্ডারপাস ও ফ্লাইওভারের কাজ চলায় চারলেন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না যাত্রীরা। এতে ঈদযাত্রায় যানজটে পড়ে ভোগান্তির আশঙ্কা তীব্রতর হচ্ছে।
নিয়মিত যাতায়াতকারী রাজশাহীর বাস যাত্রী সায়মা, বকুল, রফিকুল, ইমরান, রংপুরের যাত্রী আব্দুর রহিম, মঙ্গল দে, মহসিন চকদার সহ অনেকেই জানান, গাজিপুরের চন্দ্রা পাড় হওয়ার পরই তাদের ভোগান্তি শুরু হয়। মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে কানা-খন্দ থাকায় প্রায়ই যানবাহন বিকল হয়ে জটের সৃষ্টি করছে। এছাড়া খানা-খন্দ পাড়ি দিতে গাড়িগুলোর প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে যাত্রী সাধারণ মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হয়। তারা ঈদের এক সপ্তা আগেই মহাসড়কের খানা-খন্দ ভরাট করে চলাচলের উপযুক্ত করার দাবি জানান।
করটিয়া বাইপাস থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত যেসব ফ্লাইভার আছে সেগুলো প্রসঙ্গে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আ.ম. একরামুল ইসলাম বলেন, ‘রোডস্ অ্যান্ড হাই ওয়ে’র সাথে আমাদের একটা সমন্বয় আছে। তারা যদি আট দু-চার দিনের মধ্যে কাজটি বুঝিয়ে দিতে পারে এবং খানা-খন্দ যেখানে যে অবস্থায় আছে, সেটা যদি রিপেয়ার করে দিতে পারে আমরা আশা করছি এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষ নিবিঘেœ যাতায়াত করতে পারবে।’
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয় :: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
-
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ
-
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন :: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
-
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়
-
টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত
-
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
-
বখাটেদের টাকা না দেওয়ায় প্রবাসীকে নিয়ে তুলকালাম!
-
শিক্ষাবিদ আব্দুল মোমেনের দাফন সম্পন্ন