প্রথম পাতা / অপরাধ /
অধ্যক্ষের সাক্ষর জাল করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!
By দৃষ্টি টিভি on ৩০ আগস্ট, ২০১৮ ৮:৩৩ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর মনোয়ারা মেডিকেল টেকনোলজি কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অধ্যক্ষের সাক্ষর জাল করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। অফিস সহকারী হালিমা খাতুন ও কথিত পরিচালক মিজানুর রহমান মাসুদের বিরুদ্ধে সাক্ষর জাল করার অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ডা. এমএ আওলাদ হোসেন। এ প্রতারণার ফাঁদে পড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, ২০০৪ সালে তৎকালিন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলার অন্যতম আসামি হিসেবে অভিযুক্ত আব্দুস সালাম পিন্টুর অনুরোধে মনোয়ারা মেডিকেল টেকনোলজি কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান ডা. এমএ আওলাদ হোসেন। তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেলেও কখনো ক্লাস বা দাপ্তরিক কাজে কলেজে আসেন না। ভূঞাপুরে আব্বাস শিশু ক্লিনিক নামক তার নিজস্ব চেম্বারে বসে কাজগপত্র সাক্ষর করে দেন। এজন্য তাকে মাসিক সম্মানি হিসেবে ৫০০ টাকা দেয়া হয়। আর এ সুযোগ কাজে লাগান প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী হালিমা খাতুন ও কথিত পরিচালক মিজানুর রহমান মাসুদ। কিছু কিছু কাগজপত্রে অধ্যক্ষ ডা. এমএ আওলাদ হোসেন সাক্ষর করলেও বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে তিনি সাক্ষর করেন নি। অধ্যক্ষের সাক্ষর জাল করে অফিস সহকারী হালিমা খাতুন ও শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচালক হিসেবে পরিচিত মিজানুর রহমান মাসুদ। ২০০৮ সাল থেকে নার্সিং ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্সে। যে সনদ সরকারি বা বেসরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে কাজে আসছে না। এতে যেমন তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তেমনি প্রতারণার ফাঁদে ফেলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মনোয়ারা মেডিকেল টেকনোলজি কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. এমএ আওলাদ হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি নিজেও মাসুদের প্রতারণার শিকার। কলেজটির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই মাসুদ বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে আসছে। পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি শিক্ষার্থীদের নাসিং বলে ভর্তি করিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বোর্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মাসুদ নিজেই কখনো অধ্যক্ষ ও কখনো পরিচালক পরিচয় দিয়ে কাগজপত্রে সাক্ষর করেন। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করেন অফিস সহকারী হালিমা খাতুন।
মনোয়ারা মেডিকেল টেকনোলজি কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অফিস সহকারী হালিমা খাতুনের কাছে প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব না দিয়ে বলেন, ‘সবই মাসুদ স্যার জানেন’। এদিকে, প্রতিষ্ঠানে একাধিকবার গিয়ে এবং মোবাইল ফোনে মিজানুর রহমান মাসুদকে পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. শরীফ হোসেন খান বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পা ফসকে নিচে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
-
বিএফডিসিতে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
-
টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত
-
রামপুর ভাসানী মার্কেট শিল্প ও বণিক সমিতির নয়া কমিটি গঠন
-
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয় :: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
-
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ
-
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন :: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
-
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়