প্রথম পাতা / অপরাধ /
আদালতে চার জনকে হত্যার দায় স্বীকার
By দৃষ্টি টিভি on ২১ জুলাই, ২০২০ ৮:৪০ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের চার জনকে হত্যার ঘটনায় স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি মো. সাগর আলী।
মঙ্গলবার(২১ জুলাই) বিকালে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট(মধুপুর থানা) আদালতের বিচারক শামসুল আলম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহম্মেদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জবানবন্দিতে মো. সাগর আলী জানান, মাত্র ২০০ টাকা ধার না পাওয়ার অপমানের প্রতিশোধ নিতে আব্দুল গণিসহ পরিবারের চার জনকে খুন করেন গ্রেপ্তারকৃত সাগর আলী(২৭)। ঘাতক সাগর মধুপুর উপজেলার ব্রাক্ষ্মনবাড়ী গ্রামের মগরব আলীর ছেলে।
আদালতকে সাগর জানান, মধুপুর পৌরসভার উত্তরা আবাসিক এলাকার আব্দুল গনি সুদের ব্যবসা করতেন। সাগর আলী তার বাসার পাশেই ভাড়া বাসায় থেকে মধুপুরে রিকশা চালাতেন। আব্দুল গনির সাথে তার আগে থেকেই সুদের টাকার লেনদেন ছিল।
সাগর আলী বেশ কয়েকবার সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। গত (১৪ জুলাই) মঙ্গলবার তিনি আব্দুল গনির কাছে ২০০ টাকা ধার(হাওলাত) চাইতে যান।
আব্দুল গনি টাকা ধার না দিয়ে বকাঝকা করে সাগর আলীকে তাড়িয়ে দেয়। এতে সাগর আলী অপমান বোধ করেন।
২০০ টাকা ধার না পাওয়া এবং অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়ায় মো. সাগর আলী তার অপর এক সহযোগীকে নিয়ে আব্দুল গনিকে হত্যা এবং টাকা-পয়সা ও সম্পদ লুটের পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর আলী তার সহযোগীকে নিয়ে (১৫ জুলাই) বুধবার দিনগত রাত প্রায় ১০ টার দিকে আব্দুল গনির বাসায় যান। যাওয়ার আগে তার সহযোগী বাজার থেকে চেতনানাশক ওষুধ নিয়ে যায়।
সাগর আলী পূর্বপরিচিত হওয়ায় আব্দুল গনি তাদেরকে বাসায় ঢুকতে দেন। মো. সাগর আলী ও তার সহযোগী আকস্মিকভাবে চেতনানাশক ব্যবহার করে আব্দুল গনিকে অচেতন করে ফেলে।
পরে একে একে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে। এ সময় আব্দুল গনি ছাড়া পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে ছিল।
সবাই অচেতন হওয়ার পর ওই বাড়িতে থাকা কুড়াল আর তাদের সাথে আনা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে সাগর আলী ও তার সহযোগী মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে বাসায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।
আদালত পরিদর্শক আরো জানান, জবানবন্দি শেষে সাগরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে (২০ জুলাই) এ হত্যাকান্ডের সহযোগী ব্রাক্ষ্মনবাড়ী এলাকার জোয়াদ আলীকে(৩০) গ্রেপ্তারের পর ১০দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পৃুলিশ। আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
উল্লেখ্য, গত (১৭ জুলাই) শুক্রবার সকালে মধুপুর পৌরসভার উত্তরা আবাসিক এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ভ্যান-রিকশা-অটোর ব্যবসায়ী আব্দুল গনি(৫২), তার স্ত্রী তাজিরন বেগম(৩৮), ছেলে কলেজ ছাত্র তাজেল (৭৮) ও মেয়ে সাদিয়ার(৮) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার রাতেই আব্দুল গনির বড় মেয়ে সোনিয়া বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার(১৮ জুলাই) মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
শনিবার বিকালে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে আব্দুল গনির পৈত্রিক বাড়ি মধুপুরের গোলাবাড়িতে তাদের দাফন করা হয়।
রোববার(১৯ জুলাই) বিকেলে ওই ঘটনার জড়িত প্রধান আসামি মো. সাগর আলী(২৭)কে মধুপুরের মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২ সদস্যরা।
গ্রেপ্তারের পর ঘাতক সাগর আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন।
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরে তার বোনের বাড়ি একই উপজেলার ব্রাক্ষ্মনবাড়ী(মজিদ চালা) থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি ও লুট করা মালামাল উদ্ধার করে র্যাব।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয় :: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
-
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ
-
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন :: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
-
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়
-
টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত
-
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
-
বখাটেদের টাকা না দেওয়ায় প্রবাসীকে নিয়ে তুলকালাম!
-
শিক্ষাবিদ আব্দুল মোমেনের দাফন সম্পন্ন