প্রথম পাতা / অর্থনীতি /
ঈদুল আযহা সমাগত :: টাঙ্গাইলে টুং-টাং শব্দে মুখর কামারশালা
By দৃষ্টি টিভি on ১৭ আগস্ট, ২০১৮ ৭:০৭ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের কামাররা কোরবানির ঈদকে সামনে খুবই ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কামারদের ব্যস্ততা বাড়ছে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা টুং টাং শব্দে একটানা কাজ করে যাচ্ছেন।
কোরবানির পশু কাটতে দা, বঁটি ও ছুরি অবশ্যম্ভাবী। সেজন্য বেড়েছে কদর। কয়লার চুলায় দগ্দগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে ওঠেছে কামারশালাগুলো। একই সঙ্গে সামনে আগুনের শিখায়-তাপদেয়া, হাতুড়ি পেটানোর টুং-টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা, বটিঁ, চাপাতি ও ছুরি। কামারদের দম ফেলারও ফুসরত নেই। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন তারা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করে যাচ্ছেন। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদেকে কেন্দ্র করে কয়েকগুন ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।
কামাররা জানায়, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ২০০, দা ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বঁটি ২৫০ থেকে ৫০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে এক হাজার টাকা, মাংস কাটার চাপাতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে জেলা শহরের কলেজ গেট, গোডাউন ব্রিজ, সন্তোষ বাজার ও পার্ক বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খুবই ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কামাররা। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতে দোকানে লোকজনের ভিড়ও বেড়েছে প্রচুর। আগে যে সমস্ত দোকানে দুই জন করে শ্রমিক কাজ করতো, এখন সেই দোকানে ৫-৬জন করে শ্রমিক কাজ করছেন। কামারদের অভিযোগ, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে গেছে। অপরদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদ উপলক্ষে কামারদের মজুরি ও দা, চাপাতি এবং ছুরির দাম কয়েকগুণ বেশি নেয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজরের কামার সত্য রঞ্জন দাশ জানান, সারা বছর কাজ কম থাকে। কোরবানি ঈদ এলে তাদের কাজ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পুরনো ছুরি শান দেয়ার জন্য ৫০ টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। তবে ঈদের দুই দিন আগে থেকে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা শান দেয়ার কাজ করতে হবে।
অপর কামার আনন্দ জানান, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গেছে। দুই মাস আগেও প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিলো ৪০০-৪৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন ৮০০-৮৫০ টাকায় কিনে আনতে হচ্ছে। তাই চাপাতি, ছুরি ও দা’য়ের দাম একটু বেশি নিচ্ছেন।
পার্ক বাজারের দোকানি বাদল মিয়া জানান, ঈদকে সামনে রেখে কাজের চাপ বেশি। কাজের চাপে কখন খাওয়ার সময় চলে যাচ্ছে তারা টেরও পাচ্ছেন না। চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকায়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে বিক্রি তত বাড়ছে।
শহরের সাবালিয়া এলাকার ক্রেতা আব্দুল হালিম জানান, তিনি একটি চাপাতি ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। এছাড়া তাদের সমাজের ছুড়ি, দা, জবাই করার ছুরিসহ প্রায় ১৯টি জিনিস শান দিতে নিয়ে এসেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পা ফসকে নিচে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
-
বিএফডিসিতে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
-
টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত
-
রামপুর ভাসানী মার্কেট শিল্প ও বণিক সমিতির নয়া কমিটি গঠন
-
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয় :: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
-
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ
-
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন :: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
-
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়