আজ- ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সকাল ৭:১৮

চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যা মামলার ৪র্থ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন, পরবর্তী তারিখ ৯ মে

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার চতুর্থ বারের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার(১৮ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ১২টার দিকে এমপি রানাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ ও বাদি নাহার আহমদকে জেরা শুরু হয়। বিচারক মামলার বাদি নাহার আহমদের আংশিক জেরা সমাপ্ত করেন এবং আগামি ৯ মে মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামলার অন্যতম আসামি এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির করা হয়। রানার উপস্থিতিতে বুধবার বেলা ১২টার দিকে টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালেরত বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এজলাসে উঠেন। পরে চতুর্থ দফায় ফারুক আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও বাদির জেরা শুরু হয়। আদালতে মামলার বাদি ও নিহতের স্ত্রী নাহার আহমদের জেরা অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয় বেলা ১:০৫ মিনিটে। চলমান সাক্ষ্যগ্রহণে বাদির আংশিক জেরা গ্রহণের পর আগামি ৯মে এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালতের বিচারক। দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নি¤œ আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি। এরআগে অসুস্থ্যতার কারণে আমানুর রহমান খান রানা এমপিকে আদালতে হাজির না করায় চারবার এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহন পেছানো হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী মনিরুল ইসলাম খান জানান, আদালতে মামলার বাদি ও নিহতের স্ত্রী নাহার আহমদের জেরা অনুষ্ঠিত হয়। চলমান সাক্ষ্যগ্রহণে বাদির আংশিক জেরা গ্রহণের পর আগামি ৯মে এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালতের বিচারক। সাক্ষ্য গ্রহণের শুরুতে মামলার দুই সাক্ষী নিহতের ছেলে আহমদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমদ মিথুনের হাজিরা আদালতে দাখিল করা হয়। কারাগারে আটক আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও মো. সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদ আদালতে হাজিরা দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে এবং ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা ও তার তিনভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno