আজ- ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সকাল ৯:৪৯

টাঙ্গাইলে ১০৪ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশের দুটি মামলা!

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে তার সমর্থকদের ধাওয়া ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(৬ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশের দুই এসআই বাদি হয়ে মোট ১০৪ জনকে আসামি করে মামলা দুটি দায়ের করেছেন।
টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান জানান, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৯৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনার সময় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল এলাকার একটি দোকান থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় দোকানে থাকা দুজনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আশরাফ বাদি হয়ে ওই ১১ জনকে আসামি করে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত ১১ জনকে বৃহস্পতিবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গত বুধবার(৫ সেপ্টেম্বর) এমপি রানার জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। সেদিন তার ‘জামিন হবে’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে তার পক্ষের নেতাকর্মীরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার ও এমপি রানার মুক্তির দাবিতে শহরের শামছুল হক তোরণ এলাকা দিয়ে আদালত চত্ত্ব¡রের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এমপি রানার সমর্থকরা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল এলাকার একটি দোকান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি, ২টি ম্যাগজিনসহ দুইজনকে আটক করে। পরবর্তীতে আরো নয়জনকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ কলেজ পাড়া এলাকার তার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে এমপি রানা ও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার নাম বেরিয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামি রয়েছে। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর এমপি রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তিনি গাজিপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno