প্রথম পাতা / অপরাধ /
পাকিস্তানি কিশোরীর ধর্ষকের মা গ্রেপ্তার ॥ ধর্ষিতা উদ্ধার
By দৃষ্টি টিভি on ১৯ এপ্রিল, ২০১৯ ১০:০৪ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পাকিস্তানি এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকের মাকে গ্রেপ্তার ও অপহৃত পাকিস্তানি কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার(১৭ এপ্রিল) রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গোপালপুর থানায় মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে ঘটনার প্রধান আসামির মা আনোয়ারা বেগমকে(৪৭) গ্রেপ্তার করা হয়।
ধর্ষকের মায়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) ভোরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দীবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ভিসা নিয়ে মায়ের সাথে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে প্রথমে অপহরণ ও পরে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। কিশোরী পাকিস্তানের নিউ করাচির সুপার হাইওয়েজ রোডের নাগরিক ও স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর আনুমানিক পঁচিশ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচীতে গিয়ে নিহত হন। এর আগে সেখানে নিলুফার বেগম নামে এক পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন তিনি। পাঁচ মাস আগে পাকিস্তানি নাগরিক নিলুফার বেগম ছয় মাসের ভিসা ও কন্যাকে সাথে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ওঠেন উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ভাসুর আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে। সেখানে উঠার পর থেকেই আরেক ভাসুর আবুল হোসেনের বখাটে ছেলে আল আমিন ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। বেশ কয়েকবার ওই কিশোরীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করে আল আমিন। তবে সে সময় পারিবারিকভাবে বিষয়টির ফয়সালার চেষ্টা করা হয়।
তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসার খবর পেয়ে বখাটে আল আমিন ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। গত ১৬ এপ্রিল রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় কাকার বাড়ি থেকে কৌশলে কিশোরীকে অপহরণ করে। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এমতাবস্থায় গত ১৭ এপ্রিল আল আমিনসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে পাকিস্তানি নাগরিক নিলুফার বেগম গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষিতার মাতা নিলুফার বেগম জানান, তিনি ও তার মেয়ে ঠিক মত বাংলা বলতে পারেননা। বাবার দেশ শখ করে দেখতে এসে নিজের পরিজনের হাতেই সর্বনাশের শিকার হলো তার কিশোরী কন্যা। নির্যাতনে কন্যাটি মুষড়ে পড়েছে। তিনি এ ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোপালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসলাম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ধর্ষিতা বাংলা বলতে না পারায় এবং দোভাষী না পাওয়ায় তাদের বেশ সমস্যা হচ্ছে।
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হাসান আল মামুন জানান, গোপালপুরে পাকিস্তানি এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকের মাকে গ্রেপ্তার ও অপহৃত পাকিস্তানি কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পা ফসকে নিচে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
-
বিএফডিসিতে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
-
টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত
-
রামপুর ভাসানী মার্কেট শিল্প ও বণিক সমিতির নয়া কমিটি গঠন
-
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয় :: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
-
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ
-
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন :: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
-
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়