আজ- ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার  সকাল ৭:৫৭

মধুপুরের ১৩টি আদিবাসী গ্রাম ‘সংরক্ষিত বন’ ঘোষণা বাতিলের দাবি

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় এলাকার আদিবাসীদের ১৩টি গ্রামকে ‘সংরক্ষিত বন’ ঘোষণা বাতিলের দাবি জানিয়েছে আদিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন। বুধবার(২০ জুন) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বৃহত্তর ময়মনসিংহ আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি অজয় এ মৃ জানান, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এক গেজেটের মাধ্যমে মধুপুর গড় এলাকার নয় হাজার ১৪৫ একর জমিকে চূড়ান্তভাবে সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করেছে। এই জমিগুলোর মধ্যেই আদিবাসীদের ১৩টি গ্রাম রয়েছে। গ্রামগুলো হচ্ছে গায়রা, জলই, টেলকি, সাধুপাড়া, জালাবাদা, কাকড়াগুনি, বেদুরিয়া, জয়নাগাছা, বন্দরিয়া, কেজাই, পনামারি ও গাছাবাড়ি। এসব গ্রামের এক হাজার ৮৩টি আদিবাসী পরিবারের ছয় হাজার ৭৭জনের বসতবাড়ি এবং তাদের আড়াই হাজার একর চাষাবাদের জমি রয়েছে। এ গ্রামগুলোতে স্মরণাতীত কাল থেকে বসবাসকারি আদিবাসীরা উচ্ছেদ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, তারা জানতে পেরেছেন এই বনে ‘ইকো ট্যুরিজম’ এলাকা ঘোষণার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে বন বিভাগ। এটা বাস্তবায়িত হলে তাদের ভূমি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের পরিকল্পনা বাতিলসহ আদিবাসীদের রেকর্ডভুক্ত জমি নিয়মিত খাজনা নেয়া চালু করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, সাধারণ সম্পাদক থমাস চাম্বুগং, মধুপুর ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উইলিয়াম দাজেল, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত নকরেক, আচিক মিচিক সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সুলেখা ¤্রং, মধুপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, বাংলাদেশ আদিবাসী সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি হেরিদ সিমসাং, গাড়ো ছাত্র সংগঠনের সাবেক সভাপতি শ্যামল মানকিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno