প্রথম পাতা / অপরাধ /
সেমিনারে বক্তারা :: দেশের যেকোন স্থানে আদালত বসতে পারে
By দৃষ্টি টিভি on ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১১:০৫ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
দেশে যতগুলো পরিপূর্ণ ও ভালো আইন প্রণয়ন হয়েছে তার মধ্যে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ সেরা আইনগুলোর অন্যতম। মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ একটি স্বয়ংসম্পন্ন আইন। মানব পাচার প্রতিরোধে আদালত, তদন্তকারী সংস্থা ও ক্ষতিগ্রস্তদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। শনিবার(২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলা শাখার আয়োজনে ‘মানব পাচার প্রতিরোধে বিচার প্রপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব মতামত ব্যক্ত করেন। বক্তারা বলেন, আদালত চাইলে দেশের যেকোন স্থানে বসতে পারে- এতে আইনের কোন ব্যত্যয় হবেনা। সকল পক্ষ সচেতন হলে মামলার জট থাকবেনা। বক্তারা মনে করেন, মানব পাচার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বক্তারা বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় এ সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। অথচ দীর্ঘ দিনেও টাঙ্গাইলে মানব পাচার প্রতিরোধে কোন ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়নি। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই মানব পাচার সংক্রান্ত মামলাগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হচ্ছে, বাড়ছে মামলার জট।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ও ইউএসএআইডি’র সহযোগিতায় আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা শাখার সভাপতি ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন, টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক জেলা ও দায়রা জজ তারিক হায়দার, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসেন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) মো. আহাদুজ্জামান মিয়া, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ। মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ।
সেমিনারে জানানো হয়, ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের এ পর্যন্ত মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হয়েছে ৪১টি। এরমধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে মামলার নিস্পত্তি হয়েছে ১২টি। ২৩টি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন আছে এবং ৬টি মামলা রয়েছে তদন্তাধীন। অপরদিকে, জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মোট মামলার সংখ্যা দুই হাজার ৮১৫টি। এরমধ্যে নারী ও শিশু পিটিশন মামলা ৩৫২টি এবং মানব পাচার সংক্রান্ত ২৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সেমিনারে বক্তারা আরো বলেন, টাঙ্গাইলে পতিতালয়ের কারণে বেশি মানব পাচারের ঘটনা ঘটে, অথচ মামলা দায়ের হয় খুবই কম- এর কারণও অনুসন্ধান করা দরকার।
জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা জেলা শাখার সদস্য সাংবাদিক কামনাশীষ শেখরের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেনালে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুস সোবহান, টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন, টাঙ্গাইল অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পা ফসকে নিচে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
-
বিএফডিসিতে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
-
টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত
-
রামপুর ভাসানী মার্কেট শিল্প ও বণিক সমিতির নয়া কমিটি গঠন
-
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয় :: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
-
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ
-
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন :: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
-
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়