আজ- ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সন্ধ্যা ৬:২৭

স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে হত্যা করা হয়

 

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের গোপালপুরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য (সার্জেন্ট) মো. শামীম (৪০) হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। স্ত্রীর পরকিয়া এবং পাওনাদারদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিহতের স্ত্রী এই হত্যাকা-ের পরিকল্পনা করেন বলে পুলিশ জানায়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বাসকাইল গোইজার পাড়ার হোসেন আলীর ছেলে সুজন (২৮), একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুর রহিম (৩০) এবং নিহতের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৩৫)। এদের মধ্যে সুজন এবং আব্দুর রহিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সুজন এবং আব্দুর রহিম আদালতে জানায়, নিহতের স্ত্রী রাজিয়া বেগম এই হত্যাকা-ের পরিকল্পনা করেন। পরে রাজিয়ার নির্দেশে তারা দুইজন সরাসরি শামীমকে হত্যা করে। তবে ডিবি পুলিশের ধারণা এই হত্যাকা-ে আরো একজন অংশ গ্রহণ করে থাকতে পারে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রোববার(২৯ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) ওসি অশোক কুমার সিংহ জানান, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গভীরভাবে তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট শামীম নিজ বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে নিখোঁজ হন। পরে ২৪ আগস্ট গোপালপুরের দক্ষিণে বৈরান নদী থেকে হাত-পা রশি দিয়ে বাধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের স্ত্রী রাজিয়া বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরে এই মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের এক পর্যায়ে ডিবি পুলিশ শুক্রবার(২৭ এপ্রিল) ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত শামীমের স্ত্রী রাজিয়া পরামর্শে পরকীয়ার পথ প্রশস্থ এবং পাওনাদারদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই হত্যার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল শামীমকে কৌশলে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গোপালপুরের সন্ধুর ব্রিজের কাছে জুয়া খেলার স্থানে আনে এবং পরিত্যক্ত একটি ঘরের মধ্যে হাত-পা বেঁধে এবং গলা ও শরীরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে লাশ নদীর মধ্যে লুকিয়ে রাখে। গ্রেপ্তারকৃত সুজনের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক ও পাওয়ানাদরের হাত থেকে রক্ষা জন্য এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
তিনি বলেন, পরে গ্রেপ্তারকৃতরা শনিবার(২৮ এপ্রিল) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলত জবানবন্দি দেয়। আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মামলার বাদি ও নিহতের স্ত্রী রাজিয়া বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয় এবং তাকে রোববার(২৯ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়।

 

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno