আজ- ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  বিকাল ৩:৩০

অনন্য উচ্চতার পথে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক ॥ ২৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

 

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-1
গত ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম চীনের কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে সফরে এসেছেন শি জিনপিং। চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফর ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনের সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমির দক্ষিণ এশিয়া অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক ইয়ে হেলিন সে দেশের জাতীয় দৈনিক পিপলস ডেইলিকে বলেন, বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত বাংলাদেশ সিল্ক রোড অর্থনৈতিক বেল্ট এবং একুশ শতকের সামুদ্রিক সিল্ক রোড (যা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নামে পরিচিত) প্রতিষ্ঠায় দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণে চীনের প্রস্তাব দেয়ার আগে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে চীন-বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ। চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফর ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।dristy-2
ইয়ে হেলিন বলেন, বঙ্গোপসাগরের কাছে বাংলাদেশ শুধু একটি উন্নয়ন অঞ্চলই নয়; বরং দক্ষিণ এশিয়া সিল্ক রোড স্থাপন করা হলে অন্যতম স্টপেজও হবে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেও দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীনের অন্যতম শীর্ষ অংশীদার হতে পারে ঢাকা।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঐতিহ্যগত সম্পর্ক থাকলেও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ; আর এটি ৪১ বছর আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে অব্যাহত রয়েছে।
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত চ্যাই ঝি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি সম্পদের অভাবের সময় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে চীনের কাছ থেকে ব্যাপক সহায়তা পেয়েছে। তিনি বলেন, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় চীন বাংলাদেশের কাছে সব সময় সহায়তার হাত এগিয়ে দিয়েছে। চীন এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সাতটি ব্রিজ তৈরি করেছে এবং অষ্টম ব্রিজ নির্মাণাধীন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরে ২৫টির বেশি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে তার সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।dristy-3
২৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই: এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ২৬টি বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। শুক্রবার(১৪ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে নিজ নিজ দেশের পক্ষে দুই দেশের প্রতিনিধিরা চুক্তি ও সমঝোতায় সই করেন। একই সঙ্গে উদ্বোধন করা হয়েছে ছয়টি প্রকল্প।
এর আগে চীনা প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল কক্ষে একান্ত বৈঠকে অংশ নেন দুই নেতা। এরপর চামেলি কক্ষে দুই দেশের প্রতিনিধিরা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠক শুরু করেন। বৈঠকের পর দুই নেতার উপস্থিতিতে ৬টি বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েবেশ কিছু উন্নয়ন ও ঋণ চুক্তি সই হয়।
তার আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি এয়ার চায়নার একটি বিশেষ ফ্লাইটে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেন থেকে ঢাকায় পৌঁছান। তাঁকে বহনকারী চীনের বিশেষ বিমানটি বাংলাদেশের আকাশসীমায় এসে পৌঁছালে সেটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে আসে বিমান বাহিনীর দুটি জেট বিমান। বিশেষ ফ্লাইট থেকে বিমান বন্দরে নেমে এলে তাঁকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ সময় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় একটি শিশু। এরপর তিনি অভিবাদন মঞ্চে গিয়ে গার্ড অব অনার নেন এবং গার্ড পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno