প্রথম পাতা / টাঙ্গাইল / কালিহাতী /
কালিহাতীতে মুক্তিযোদ্ধাদের পাল্টাপাল্টি সভা
By দৃষ্টি টিভি on ২৫ আগস্ট, ২০১৯ ১০:৩১ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে রোববার(২৫ আগস্ট) মুক্তিযোদ্ধাদের দু’গ্রুপ সভা আহ্বান করায় উপজেলা সদরে উত্তেজনা বিরাজ করলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও দু’পক্ষের সাথে কথা বলে পরিবেশ শান্ত করেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে তালা প্রদানকারীদের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক কমান্ডার মিজানুর রহমান মজনু।
জানা যায়, কালিহাতী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দুইবারের সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে যান। কিন্তু কমপ্লেক্সের গেটে আগেই তালা লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ফলে মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করতে পারেনি।
রোববার সকালে তালা দেয়ার প্রতিবাদ এবং জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধারা। এ খবর পেয়ে সাবেক কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙালের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের অপরপক্ষ একই স্থানে সভা আহŸান করে মাইকে প্রচার করে। অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে প্রশাসন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মিজানুর রহমান মজনুর বলেন, যারা কমপ্লেক্সে তালা দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি, তারা নব্য রাজাকার। আওয়ামী লীগের শাসনামলে এটা মেনে নেয়া যায়না। এর প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের রোববারের সভাটি পূর্ব নির্ধারিত। কিন্তু সাবেক কমান্ডার হুমায়ুন বাঙাল এটি জানার পরও সেখানে সভা ডাকেন। পরে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও এবং কালিহাতীর কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তালা প্রদানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আাশ্বাস দেন। তার অনুরোধে সভাটি স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে, সাবেক কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সভা ডাকা হয়েছে সেটা আমার জানা ছিল না। তাই আমি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আহŸান করি। পরে এসিল্যান্ডের মধ্যস্থতায় কেউই সভা করি নাই।
এবিষয়ে কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধাদের দুই পক্ষের সভা আহŸানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে তাদের সাথে কথা বললে তারা কর্মসূচি বাতিল করেন। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে যে কোন কর্মসূচি পালন করতে হলে মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ অনুমতি নিতে হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয় :: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
-
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ
-
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন :: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
-
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়
-
টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত
-
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
-
বখাটেদের টাকা না দেওয়ায় প্রবাসীকে নিয়ে তুলকালাম!
-
শিক্ষাবিদ আব্দুল মোমেনের দাফন সম্পন্ন