আজ- ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  বিকাল ৫:৪৫

গোপালপুরে পাঠ্যবই গায়েব- শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিনামূল্যের ৩৫ হাজার পাঠ্যবইয়ের মধ্যে ১০ হাজার বই গায়েব হওয়ার ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীনকে শোকজ করা হয়েছে।

একটি বিদ্যালয়ের কক্ষ থেকে পাঠ্যবই গায়েব হওয়ার ফলে অনেক শিশু পহেলা জানুয়ারি বই হাতে পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


জানা যায়, গোপালপুর উপজেলার ৬১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাকপ্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৫ হাজার পাঠ্যবইয়ের চাহিদা পাঠানো হয়। গত ৮ ডিসেম্বর পরিবহন ঠিকাদার সোহেল রানা গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীনকে চালান মূলে এসব বই বুঝিয়ে দেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসব বই উপজেলা পরিষদের স্টোর রুমে না রেখে নিজ দায়িত্বে সূতি সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে রেখে দেন। সেখানে রাতে কোন পাহারার ব্যবস্থা ছিল না।

গত ২২ ডিসেম্বর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বই বুঝিয়ে দেওয়ার সময় বই গায়েব হওয়ার ঘটনা প্রকাশ হয়। দেখা যায় পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান চার হাজার ৯৫০ এবং ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পাঁচ হাজার ৫০সহ মোট ১০ হাজার বই গায়েব হয়ে গেছে।


গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল করিম জানান, সকল পাঠ্যবই চালান মূলে ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীন। বই সংরক্ষণে রাখার কক্ষের চাবিও তার কাছেই ছিল। তা হলে এসব পাঠ্যবই কিভাবে ‘গায়েব’ হয়ে গেল তা নিয়ে তিনি এখন ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছেন।

টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল আজিজ পাঠ্যপুস্তক গায়েব হওয়ার অভিযোগে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীনকে গত ২৩ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ(শোকজ) দেন।


এ বিষয়ে পাঠ্যবই পরিবহণের ঠিকাদার সোহেল রানা জানান, চালানে স্বাক্ষর নিয়ে সকল পাঠ্যবই উপজেলা শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজেরা বই গায়েব করে এখন শিক্ষা অফিসার তাকে দোষারোপ করছেন।


গোপালপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীন জানান, ঠিকাদারই বই কম দিয়েছে। অতগুলো বই এক সঙ্গে গুনে নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। চালান বুঝে নেওয়ার সময় তিনি তড়িঘড়ি দস্তখত করেছেন।


গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, বই গায়েব হওয়ার মত চাঞ্চল্যকর ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিস তাদেরকে কোন কিছু জানায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ নিজ উদ্যোগে তদন্ত করে দেখবে।


গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. পারভেজ মল্লিক জানান, পাঠ্যবই গায়েব হওয়ার খবরটি তিনি সোমবার(২৭ ডিসেম্বর) জানতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীনকে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।


টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি জানান, বিষয়টি তিনি একজন গণমাধ্যমকর্মীর কাছ থেকে প্রথম জেনেছেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নতুন বছরের শুরুতেই যেন শিশু শিক্ষার্থীরা সরকারি পাঠ্যবই পায় সে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno