প্রথম পাতা / টাঙ্গাইল / কালিহাতী /
টাঙ্গাইলের হোটেল-রেস্তোরাঁয় ঝুঁকিপূর্ণ সিএনজি গ্যাস ব্যবহার
By দৃষ্টি টিভি on ৪ মার্চ, ২০২৪ ৭:২৯ অপরাহ্ন / no comments
পাঁচ শতাধিক রেস্তোরাঁ-বহুতল ভবন অগ্নিঝুঁকিতে
দৃষ্টি নিউজ:
ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকা-ের ঘটনায় হতাহতের পর নড়েচড়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের জেলা-উপজেলা প্রশাসন। জেলার বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বহুতল ভবনগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ও তদারকি জোরদার করা হয়েছে।
জেলা রেস্তোরাঁ ও মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী মালিক সমিতি সূত্রে জানাগেছে, সমিতির আওতায় জেলা শহরে ১৬০টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর বাইরেও জেলায় চার শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁ আছে। সব মিলিয়ে টাঙ্গাইলের পাঁচ শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বহুতল ভবনগুলো অগ্নিঝুঁঁকিতে রয়েছে। অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁয় রান্নার কাজে এলপিজি গ্যাসের পরিবর্তে উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন সিএনজি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টাঙ্গাইল শহরের অনেক বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। এসব ভবনে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা নেই। ভবনগুলোতে অবস্থিত রেস্তোরাঁয় উঠা-নামার জন্য একটা মাত্র সিঁড়ি রয়েছে। অনেক বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাসহ ফায়ার সেফটি প্ল্যানও নেই।
শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইশার নেই। অনেকেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছেন। অনেক হোটেল-রেস্তোরাঁয় এলপিজি গ্যাসের পরিবর্তে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ সিএনজি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোয় যেখানে-সেখানে গ্যাসের বোতল রাখা হচ্ছে। এসব ভবন ও রেস্তোরাঁয় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে বাইরে বের হওয়ার তেমন সুযোগ নেই।
স্থানীয় কলেজ শিক্ষক মোজাম্মেল হক জানান, বহুতল ভবন ও অভিজাত রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠা করার আগে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। শহরের অনেক বহুতল ভবন ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নেই। সকলকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও অগ্নিপ্রতিরোধকে গুরুত্ব দিতে হবে।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়ারহাউস ইন্সপেক্টর মো. রবিউল আওয়াল জানান, এ পর্যন্ত তার পরিদর্শন করা হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর প্রত্যেকটি অগ্নিনির্বাপনের ক্ষেত্রে ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোও ঝুঁঁকিতে রয়েছে। অনেক ভবনে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন নেই। অনেক ভবনে একটিমাত্র সিঁড়ি রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়া যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে তাদের সেফটি প্ল্যানের মাধ্যমে ভবন নির্মাণের জন্য প্রতিনিয়ত নোটিশ দেওয়া হয়। যারা ওই নোটিশ অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। টাঙ্গাইলের ১০তলা কোনো ভবনে আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা তাদের নেই। এ বিষয়ে ঢাকায় চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বিন মুহাম্মদ আলী জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে রেস্টুরেণ্ট ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নিকা- প্রতিরোধ এবং নির্বাপণের যে ব্যবস্থাগুলো রয়েছে সেখানে কোন ঘাটতি আছে কিনা বা ফায়ার লাইসেন্স রয়েছে কিনা সেসব বিষয় মনিটর করা হচ্ছে। তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করার পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থদ- প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি শহরের চারটি স্বনামধন্য রেস্টুরেণ্টে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়। তাদের ফায়ার লাইসেন্স আছে কিনা, ফায়ার ইক্সটিংগুইসার, সিওটু এক্সটিংগুইসার ও সেখানে ফায়ার নির্বাপক পয়েণ্ট এবং ওয়াটার সোর্সের পয়েণ্ট আছে কিনা সবই লক্ষ্য করা হচ্ছে। অনেক রেস্টুরেণ্টে এলপিজি গ্যাসের পরিবর্তে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সিএনজি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
-
টাঙ্গাইলে যৌথ অভিযানে তিন গণপরিবহণে জরিমানা
-
রোববার খুলছে প্রাথমিক :: তাপদাহে ক্লাস চালাতে নির্দেশনা
-
প্রচণ্ড গরমে টাঙ্গাইলে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন ॥ আতঙ্কে ১০ যাত্রী আহত
-
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পা ফসকে নিচে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
-
বিএফডিসিতে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
-
টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত
-
রামপুর ভাসানী মার্কেট শিল্প ও বণিক সমিতির নয়া কমিটি গঠন