আজ- ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সন্ধ্যা ৭:৩০

একটি যৌন নিগ্রহের মামলা :: আওয়ামী রাজনীতি অস্থিতিশীল করার নীল নক্শা!

 

বুলবুল মল্লিক:

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে এক কিশোরীর দায়ের করা মামলা নিয়ে শহরে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন জেলার আওয়ামী রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।

আওয়ামী ঘরাণার অধিকাংশ নেতাকর্মী মনে করছেন- এটা জেলার আওয়ামী রাজনীতি অস্থিতিশীল করার একটি নীল নক্শা। একই ঘরাণার অপর একটি মহল মনে করছেন- যে বা যারা কিশোরীর উপর যৌন নিগ্রহ চালাতে পারে তার বা তাদের বিচার হওয়া আবশ্যক; এতে সরকারেরই ভাবমুর্তি উজ্জল হবে, বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে।


জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, দশ বছর আগে জেলার আওয়ামী রাজনীতিতে শহরের ‘খান পরিবার’র একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল। দলবাজি, টেন্ডারবাজি, ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, খুন, মাদক ব্যবসা, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ- এক কথায় তারা জেলার সবকিছুর অলিখিত নিয়ন্ত্রক ছিল। ডিম বিক্রিতেও তাদের ছিল নিয়ন্ত্রণ- ডিম প্রতি ১২-১৫ পয়সা হারে তাদেরকে চাঁদা দিতে হত। জেলার আওয়ামী রাজনীতি চলেছে তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর। খান পরিবারের অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করা হত।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আ’লীগের তৎকালীন দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ খুন হন। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) হাতে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দুই আসামি গ্রেপ্তারের পর এ মামলা নতুন মাত্রা পায়। জেলার আওয়ামী রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী খান পরিবারের চার ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা হত্যাকান্ডে জড়িত জানিয়ে ওই দুই আসামি জবানবন্দি দেন। এরপরই আত্মগোপনে চলে যান চার ভাই।

পরে আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। দীর্ঘ ৩৬ মাস হাজতবাসের পর তিনি জামিন পান। বর্তমানে মুক্তি কারাগারে থাকলেও তার অপর দুই ভাই কাকন ও বাপ্পা পলাতক রয়েছেন। ওই সময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ খান পরিবারের হাতে খুন হন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও মামলাটি বর্তমানে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষী হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। মূলত ওই মামলার কারণে টাঙ্গাইলের রাজনীতি থেকে খান পরিবার এক প্রকার নির্বাসিত হয়ে পড়ে। তাদের কুশীলবদের অনেকে খোলস পাল্টে চলমান রাজনীতির ধারায় যুক্ত হয়। এখনও খান পরিবারের সুবিধাভোগী অনেকে বিশেষ করে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা(লাল পতাকা) দল থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী অনুসারীরা তাদের(খান পরিবার) প্রত্যাবাসনে নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।


বিশ্লেষকরা জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার বিচারের দাবিতে ওই সময় আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তরুণ রাজনীতিক তানভীর হাসান ছোট মনির, তার ভাই গোলাম কিবরিয়া বড়মনি, সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সাইফুজ্জামান খান সোহেল, খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম(ভিপি জোয়াহের) সহ আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।

তাদের আন্দোলন-সংগ্রাম ও প্রবীণ রাজনীতিক একুশে পদকপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের দিক নির্দেশনায় জেলার আওয়ামী রাজনীতিতে সুষ্ঠু ধারা বইতে থাকে। বর্তমানে জেলার আওয়ামী রাজনীতিতে যে সুবাতাস বইছে- এর নেপথ্যে উল্লেখিত রাজনীতিকদের প্রজ্ঞা, একনিষ্ঠতা ও দূরদর্শিতা অনস্বীকার্য। ইতোপূর্বে কয়েক দফায় খান পরিবার টাঙ্গাইলের আওয়ামী রাজনীতিতে পূনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।


স্থানীয় আওয়ামীলীগের অধিকাংশ ত্যাগী নেতাকর্মী মনে করেন, পদ-পদবী নিয়ে উল্লেখিত রাজনীতিকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা এক পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে রূপ নেওয়ার সুযোগ গ্রহন করে সেই খান পরিবারের অনুসারীরা আবার সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে এক কিশোরী গত ৫ এপ্রিল রাতে সদর থানায় যৌন নিগ্রহের অভিযোগে মামলা দায়ের করায় তপ্ত আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার অবস্থা হয়েছে।

খান পরিবারের অনুসারীরা বিষয়টিকে লুফে নিয়েছে। তারা সচেতন নারী সমাজের ব্যানারে শহরে সুযোগ পেলেই প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। বিক্ষোভকারীরা এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির ও আ’লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির শাস্তির দাবিতে নানা ধরনের আপত্তিকর স্লোগান দিচ্ছেন।


কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ তারেক পলু, সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এলেন মল্লিক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীর প্রতীক, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর আমিনুর রহমান, টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর কামরুল হাসান,

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহাগ, জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বালা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক মাহতাব, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছিমা বাছিত এবং খান পরিবারের মৌন সমর্থক বলে পরিচিত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা নবীন সহ অনেকেই মনে করেন- শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে এক কিশোরীর দায়ের করা মামলাটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।

বড় মনি ও তার পরিবারকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য অন্য কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। যে ব্যক্তি বিয়ের ১০-১১ বছরেও সন্তানের মুখ দেখেননি তার বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের পর গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি হাস্যকর। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগ অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।


এদিকে, ওই কিশোরীর দায়ের করা মামলায় যৌন নিগ্রহের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর। কিন্তু ডাক্তারী পরীক্ষায় ওই কিশোরী ২৪ সপ্তাহের বেশি(ছয় মাস) অন্তঃসত্ত্বা বলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। গোলাম কিবরিয়া বড় মনির সমর্থকরা কিশোরী যৌন নিগ্রহের আড়াই মাস আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে থাকলে গর্ভস্থিত সন্তানের বাবা কে- এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।


মোবাইল কোম্পানীর টাওয়ার পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, মামলায় উল্লেখিত তারিখে গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইলের বাইরে ছিলেন। মামলায় বড় মনির স্ত্রী নিগার আফতাবকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। একজন স্ত্রী কিভাবে নিজের স্বামীকে অন্য মেয়ের উপর যৌন নিগ্রহে সহায়তা করে- তা নিয়েও সমর্থকরা প্রশ্ন তুলেছেন।


মামলায় ওই কিশোরী উল্লেখ করেছেন, বড় মনি তাদের আত্মীয় এবং পূর্ব পরিচিত। ওই কিশোরীর ভাইয়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই কথা গোলাম কিবরিয়া বড় মনিকে জানানোর পর তিনি সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। গত ১৭ ডিসেম্বর শহরের আদালত পাড়ায় বড় মনি একটি ১০তলা ভবনে নিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা কক্ষে আটকে রেখে জোর করে তার উপর যৌন নিগ্রহ চালান।

থানায় মামলা দায়ের করার পর গত ১২ এপ্রিল(বুধবার) ওই কিশোরীর বড় ভাই জিয়াউল হাসান জনি টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তার বোন মাদকাসক্ত ও বখাটে। তার বোন ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করা অবস্থায় বখাটে হয়ে যায়। সে সময় থেকে নানা ধরনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। বাড়িতে নিজের কক্ষে প্রতিনিয়ত নেশার আড্ডা বসাতো।

এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় একাধিকবার তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছে। কিশোরীর ভাইয়ের অভিযোগ, বছর দেড়েক আগে তার বোন শহরের থানা পাড়ার এক ছেলেকে বিয়ে করে। মাদকাসক্ত হওয়ায় ছেলেটির নামে মামলা দায়েরের পর টাকা আদায় করে ছাড়াছাড়ি হয়। এছাড়া তার বোন ৭-৮ মাস আগে টাঙ্গাইল শহরের একটি স্বনামধন্য ক্লিনিকে গিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। গর্ভপাতের বিষয়টি জানাজানি হলে পুরো পরিবারে হুলস্থুল কান্ড ঘটে।


ওই কিশোরীর দায়ের করা মামলাটি ইস্যু করে খান পরিবারের অনুসারীরা নড়েচড়ে বসেছেন। তারা বিষয়টিকে ব্যবহার করে খান পরিবারের প্রত্যাবাসন করতে চায়। এর সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি ২-১ জন রাজনীতিক যোগ হয়েছেন। তারা টাঙ্গাইলের আওয়ামী রাজনীতিতে আবার অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি নিজেদের আখের গোছাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে।


খান পরিবারের কয়েক অনুসারী নাম প্রকাশ না করে জানায়, এক কিশোরী মামলা দায়ের করেছে- এটা তো মিথ্যা নয়। সচেতন নারী সমাজের হয়ে সাধারণ নারীরা বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল করছে- এখানে তাদের কোন হাত নেই। এমপি ছোট মনির ও আ’লীগ নেতা বড় মনির কাছে টাঙ্গাইলের নিরীহ নারীরাও নিরাপদ নয়। ওই কিশোরী ন্যায় বিচার পাক তাই তারা চান। এতে সরকারেরই ভাবমূর্তি উজ্জল হবে। জেলার বিচার বিভাগের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে। তারা জানান, খান পরিবার কখনোই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চিন্তা করেনা। খান পরিবার সব সময় মানুষের কল্যাণে সবকিছু করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।


টাঙ্গাইল-২(গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির সংবাদ সম্মেলন করে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন আগে জেলা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে হত্যা করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী খান পরিবারের সন্তানরা। সেই হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন-সংগ্রাম করায় ওই পরিবারের কাছে তারা শত্রুতে পরিণত হয়েছেন।

সেই সূত্র ধরে তারা(খান পরিবার) বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে। বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা খুনি মোশতাকের অনুসারীরা তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তারা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ব্যাহত করতে চান।


তিনি আরও জানান, তার ভাই গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় গোলাম কিবরিয়া বড় মনি এবং তার স্ত্রী নিগার আফতাব হাইকোর্ট থেকে মঙ্গলবার(১৮ এপ্রিল) চার সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।

তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলছে। বড় মনি দোষী প্রমাণিত হলে তিনিও(এমপি ছোট মনির) তার শাস্তি চান। তবে এই মামলাকে কেন্দ্র করে একটি কুচক্রী মহল আবার টাঙ্গাইলকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। যে কোন মূল্যে তাদের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno