আজ- ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রবিবার  বিকাল ৪:২১

টাঙ্গাইল-৫ আসনে চরম নাটকীয়তায় আ’লীগ-জাপা’র দুই প্রার্থীই থাকছেন

 

দৃষ্টি নিউজ:


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চরম নাটকীয়তার পর টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনে মহাজোটের আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি উভয় দলের দুই প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দিতায় থাকছেন। শুক্রবার(২৮ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. ছানোয়ার হোসেনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা এসেছিল। শুক্রবার রাতে আবার দলের উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে, এ আসনে নৌকার প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবেন। অর্থাৎ টাঙ্গাইল-৫ আসনে মহাজোটগতভাবে নির্বাচন হচ্ছেনা, আওয়ামীলীগের মো. ছানোয়ার হোসেন ও জাতীয় পার্টির শফিউল্লাহ আল মুনির এ দুই প্রার্থীই আলাদাভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ছানোয়ার হোসেন শুক্রবার ঢাকায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ শনিবার(২৯ ডিসেম্বর) সকালে জানান, দলীয় প্রধান মো. ছানোয়ার হোসেনকে নির্বাচনে থাকতে এবং বিজয়ী হওয়ার জন্য সর্বাত্মক কাজ করার কথা বলেছেন। রাতেই মো. ছানোয়ার হোসেন টাঙ্গাইলে ফিরে কর্মীদের নৌকা প্রতীক বিজয়ী করতে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন।
শনিবার(২৯ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সকল বিভ্রান্তির অবসান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. ছানোয়ার হোসেনকে বিজয়ী করার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়।
মহাজোটের অন্যতম অংশিদার জাতীয় পার্টি এ আসনটির দাবিদার ছিল। আওয়ামী লীগ বর্তমান সংসদের এমপি মো. ছানোয়ার হোসেনকে মনোনয়ন দেয়। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেন দলের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও জেলা শাখার আহ্বায়ক শফিউল্লাহ আল মুনির। তখন বলা হয়েছিল, এ আসনটিতে জোট হবে না। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি উভয় দলের প্রার্থীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। গত বৃহস্পতিবার(২৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভিডিও সমাবেশের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের সবগুলো আসনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। কিন্তু টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেননি। সেখানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘টাঙ্গাইল-৫ আসনে আমরা মো. ছানোয়ার হোসেনকে মনোনয়ন দিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের জাতীয় পার্টির শফিউল্লাহ আল মুনির সেও প্রার্থী। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের মহাজোটের সমঝোতা হয়েছে। কাজেই ঐক্যটাও আমাদের ধরে রাখা একান্তভাবে প্রয়োজন।’
এ আসনে মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদের এমপি মো. ছানোয়ার হোসেন(নৌকা), জাতীয় পার্টিার শফিউল্লাহ আল মুনির(লঙ্গল), বিএনপি থেকে মাহমুদুল হাসান (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের খন্দকার ছানোয়ার হোসেন (হাতপাখা), বিএনএফ’র শামীম আল মামুন (টেলিভিশন), খেলাফত আন্দোলনের সৈয়দ খালেদ মোস্তফা (বটগাছ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবু তাহের (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী (মাথাল)।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মীর মাজেদুর রহমান এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মাহমুদুল হাসান এমপি নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৪ সালে এমপি মাহমুদুল হাসান বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আব্দুল মান্নান এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এমপি হন মাহমুদুল হাসান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবুল কাশেম এমপি নির্বাচিত হন। কিন্তু সংসদের মেয়াদ পূর্তির মাত্র ৬ মাস আগে বিল খেলাপির কারণে তার সংসদ সদস্যপদ চলে যায়। বিএনপির মাহমুদুল হাসানকে আদালত এমপি ঘোষণা করে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ আসনে মো. ছানোয়ার হোসেনকে মনোনয়ন দেয় এবং তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এবারও আওয়ামীলীগ মো. ছানোয়ার হোনেকে মনোনয়ন দিয়েছে।
আগামিকাল রোববার(৩০ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের তিন লাখ ৮০ হাজার ২৩৫জন ভোটার ১২৭কেন্দ্রের ৭৬৩টি কক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno