আজ- ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  বিকাল ৩:০৬

নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে :: মির্জা ফখরুল

 

দৃষ্টি নিউজ:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে সংলাপ সংলাপ খেলা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দল গলোকে ডেকে ডেকে সংলাপ করছেন। কীসের সংলাপ? কেমন করে ইসি গঠন করবে? নির্বাচন কমিশন গঠন করে কী হবে? যে সরকার আছে সে সরকারই তো নির্বাচনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ যতদিন সরকারে থাকবে, ততদিন ইসি গঠন করে কোনো লাভ হবে না। আগামি নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে। এ স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করবো। কারণ ভয়াবহ দানবীয় এ সরকার আমাদের বুকের উপর চেপে বসে আছে।


তিনি বলেন, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম জিয়া আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দীর্ঘদিন ধরে আটক করে রেখেছে। তার কিছু হলে এর সমস্ত দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। আমরা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে সভা-সমাবেশ ও গণ অনশন করছি। তবুও সরকার কর্ণপাত করছে না।

আমরা বার বার বলছি- মানবিক কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তারা আমাদেরকে আইন দেখায়। আমরা আইন ঘেটে দেখেছি আপোষহীন নেত্রী বেগম জিয়ার মুক্তিতে আইন কোন বাঁধা নয়, বাঁধা হচ্ছে ক্ষমতাসীন সরকার।

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বুধবার(২২ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল জেলা সদরস্থ কলেক্টরেট মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।


আওয়মাী লীগের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামীলীগের সরকার গত ১৪ বছর যাবত বিএনপির উপর অন্যায়-অত্যাচার, দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। আমাদের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে খুন-গুম এবং ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে। এবার বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তখন আওয়ামী লীগের লোকজন পালাবার পথ খুঁজে পাবে না।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন আওয়ামী লীগের নেতারা পাকিস্তানীদের ভয়ে পালিয়ে ভারতে চলে গেছেন। আর জিয়াউর রহমান কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রনাঙ্গণে যুদ্ধ করেছেন। বেগম জিয়া তার ছোট্ট দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে ঢাকায় পাকিস্তানীদের হাতে আটক ছিলেন। তিনি ছোট্ট দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে পালিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন বলেই তিনি দেশের প্রথম নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা।


তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইল রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ একটি জেলা। এখানে জন্মেছেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীসহ অনেক গুণি নেতা। আজ আমাদের সমাবেশে আসতে দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা এবং ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে। গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে দিয়েছে।

সমাবেশের স্থানের অনুমতি নিয়ে নানা নাটক করা হয়েছে। তবুও জনস্রোত ধরে রাখতে পারে নি। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কোন ব্যক্তি বা দলের নন। তাই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করুন।


বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, সাবেক এমপি ও বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী,

কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক দিপু সরকার, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, সাঈদ সোহরাব, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল ও অমল ব্যানার্জী প্রমুখ।

সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু। সমাবেশে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।


খাবার সংকট: এদিকে সমাবেশটি দুপুর দেড় টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকে বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা মাঠে সমবেত হন।

দেরিতে শুরু হওয়ায় নেতাকর্মীরা জেলা শহরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরায় খাবারের জন্য ভীড় করেন। মুহুর্তেই জেলার হোটেল-রেস্তোরাগুলোর খাবার শেষ হয়ে যায়। ফলে অনেকেই খাবার সংকটে পড়েন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno