প্রথম পাতা / অপরাধ /
বিচারক ছুটিতে থাকায় রূপা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন পেছাল
By দৃষ্টি টিভি on ১৩ নভেম্বর, ২০১৭ ১:৪৮ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে আদালতের বিচারক ছুটিতে থাকায় মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের দিন পেছাল। সোমবার(১৩ নভেম্বর) এ মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্য থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবুল মনসুর মিয়া আগামি ২২ নভেম্বর নয়া তারিখ ধার্য করেন।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি একেএম মো. নাছিমুল আখতার জানান, মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারিক আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী(মধুপুর অঞ্চল) আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন, ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্দুল মান্নান। সোমবার(১৩ নভেম্বর) চাঞ্চল্যকর রূপা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্য থাকলেও আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান ছুটিতে থাকায় এর তারিখ পিছিয়ে আগামি ২২ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া। এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের সহায়তা ছিলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা জর্জ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন। ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাঁরাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর নিহত রূপার দাঁত ও পরিধেয় বস্ত্র ঢাকায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেককে আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন। ১৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলার চার্জশীট(অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ। ১৩ নভেম্বর এ মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
-
টাঙ্গাইলে যৌথ অভিযানে তিন গণপরিবহণে জরিমানা
-
রোববার খুলছে প্রাথমিক :: তাপদাহে ক্লাস চালাতে নির্দেশনা
-
প্রচণ্ড গরমে টাঙ্গাইলে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন ॥ আতঙ্কে ১০ যাত্রী আহত
-
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পা ফসকে নিচে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
-
বিএফডিসিতে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
-
টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত
-
রামপুর ভাসানী মার্কেট শিল্প ও বণিক সমিতির নয়া কমিটি গঠন