আজ- ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার  রাত ৮:০৫

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি সহ শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় লাইলী বেগম(৩০) নামে এক প্রসূতি সহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

লাইলী বেগম ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি গ্রামের আতোয়ার হোসেনের স্ত্রী। বুধবার (২৫ মে) রাতে প্রসূতির মৃত্যুর পর হাসপাতালের মালিকসহ চিকিৎসক ও নার্সরা পালিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার(২৬ মে) দুপুরে ওই ঘটনায় টাঙ্গাইল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।


ওই প্রসূতির পরিবার জানায়, লাইলী বেগমের প্রসব যন্ত্রণা হলে তার স্বজনরা ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক রোগীকে টাঙ্গাইলে স্থানান্তর করেন। কিন্তু সেখানে থাকা দালাল শামছুর খপ্পরে পড়ে তারা প্রসূতিকে স্থানীয় মা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ওই ক্লিনিকের সার্জারি চিকিৎসক ও ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এনামুল হক সোহেল ও এনেস্থেশিয়ার চিকিৎসক ডা. আল মামুন অস্ত্রোপচার শুরু করেন। এক পর্যায়ে রোগী অপারেশন টেবিলেই মারা যায়।

এ সময় স্বজনদের না জানিয়ে লাশ অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেওয়ার সময় স্বজন ও স্থানীয়রা বাঁধা দেয়। পরে লাশ ক্লিনিকের সামনে রেখে চিকিৎসক, নার্স ও মালিক পালিয়ে যায়।


নিহত প্রসূতির স্বামী আতোয়ার রহমান জানান, তিনি অত্যন্ত দরিদ্র মানুষ। দালালচক্রের সদস্য মো. শামছু মিয়া প্রলোভন দেখিয়ে কম টাকায় সিজার করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রসূতিকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে যান।

পরে তারা দেড় ঘণ্টা তার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে রাখে। অপারেশন থিয়েটার থেকে ডাক্তার বের হয়ে কানাঘুষা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন ভুল চিকিৎসায় তর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আল মামুন জানান, মা ক্লিনিকে আনার পর তার উচ্চ রক্ত চাপ (প্রেসার) দেখা দেয়। পরে অপারেশনের আগেই রোগী বমি করার পরই মারা যায়।


ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান জানান, প্রসূতি নারী ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় সরকারি হাসপাতালের কোন চিকিৎসক জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে।


ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান জানান, ঘটনা তদন্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী কনসালট্যান্ট ডা. ফারহানা পারভীনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিকে আগামিমী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ওই ক্লিনিক পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno