আজ- ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রবিবার  সকাল ৬:৪০

ভোটারদের ‘স্যার’ সম্বোধন করে সম্মানিত করছেন এমপি প্রার্থী

 

দৃষ্টি নিউজ:


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের প্রার্থী সৈয়দ খালেদ মোস্তফা। তিনি নিজের পোস্টার নিজেই লাগান, দেয়ালেও নিজেই লিখেন। এবারের নির্বাচনী প্রচারও চালিয়েছেন নিজেই। তিনি ভোটারদের ‘স্যার’ সম্বোধন করে সম্মানিত করছেন। তাঁর দাবি, নির্বাচনে ভোটাররা সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি, তাদেরকে সম্মান না দিলে তাদের ‘ভোট’কে কিভাবে সম্মানের সাথে হেফাজত করবেন? সৈয়দ খালেদ মোস্তফা পুরুষ ভোটারদের ‘স্যার’ ও নারী ভোটারদের ‘মা’ বলে সম্বোধন করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ খালেদ মোস্তফা সদর উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে, হাটে-বাজারে, চা-স্টলে সর্বত্রই পায়ে হেঁটে একা একা সকলের কাছে ভোট ও দোয়া চেয়েছেন। তাঁর ভোট চাওয়ার ধরণ নির্বাচনী এলাকায় ‘চাউর’ হয়েছে। প্রচারণায় নেমে তিনি ভোটারদের দেখলেই বলতেন, ‘আসসালামু আলাইকুম স্যার, আমি এমপি প্রার্থী সৈয়দ খালেদ মোস্তফা, আমারে বটগাছ মার্কায় একটা ভোট দিয়েন।’ এ আসনের সবাই তাকে চিনেন। সবাই তাকে ‘এমপি সাহেব’ বলে সম্বোধন করেন। পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের আধা-পাকা দাঁড়ি-চুল, সাদা টুপি-পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত এ প্রার্থীর কোনো পেশা নেই। সারা বছর ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোট ও দোয়া চাওয়াই তার পেশা।
সৈয়দ খালেদ মোস্তফা জানান, ২০০১ সাল থেকে তিনি প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে প্রতিদিন মানুষের কাছে ভোট ও দোয়া চান। নির্বাচনের পরের দিন থেকেই আবার ভোট ও দোয়া চান। ২০০৭ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ঘুড়ি প্রতীক পান। কিন্তু জরুরি অবস্থা জারির পর সে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে শতকরা একভাগ ভোটারের সমর্থনের তালিকা না থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র বাতিলের পরের দিন থেকেই তিনি ভোটও চাওয়া শুরু করেন ২০১৪ সালের নির্বাচনের জন্য। এ নির্বাচনেও একই কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ২০১৪ সালে মনোনয়ন বাতিলের পরদিন থেকেই ২০১৮ সালের নির্বাচনের জন্য ভোট ও দোয়া চাওয়া শুরু করেন। তিনি এবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের প্রার্থী হিসেবে ‘বটগাছ’ প্রতীক পেয়েছেন।
দুই নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার বিষয়ে সৈয়দ খালেদ মোস্তফা বলেন, ‘আমি যাতে এমপি হতে না পারি এ জন্য ষড়যন্ত্র করে মনোনয়ন বাতিল করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘দল থেকে একটি টাকাও দেয়নি। ভাইবোন ও ভোটারের টাকায় পোস্টার ছাপিয়েছি। এ আসনের ভোটাররা আমাকে পছন্দ করেন। এমপি নির্বাচিত না হলেও এমপি বলে ডাকেন।’ এবার ষড়যন্ত্র না হলে নির্বাচিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন সৈয়দ খালেদ মোস্তফা।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno