দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র মাহমুদুল হাসান কলেজ মার্কেটে শুক্রবার(২৩ ডিসেম্বর) রাতে দুইটি স্বর্ণের সহ তিনটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। দোকান তিনটি হচ্ছে, উৎপল বিশ্বাসের স্বণশ্রী জুয়েলার্স, সুদেব কর্মকার ও আশিষ বিশ্বাসের অঙ্গশ্রী জুয়েলার্স, সমরেশ পালের প্রীতম বস্ত্রালয়।
জানা যায়, শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতের কোন এক সময় নিচতলার প্রীতম বস্ত্রালয়ের তালা ভেঙ্গে চোরদল দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে। পরে ওই দোকানের ভিতর থেকে দেয়াল ভেঙে পাশের স্বর্ণশ্রী জুয়েলার্সে প্রবেশ করে। সেখানে সব লুটপাটের পর একই কায়দায় অঙ্গশ্রী জুয়লার্সে ঢুকে। তারা তিনটি দোকানের প্রায় ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে ওই তিন দোকানের লোকজন এসে দেখে দোকানের সব কিছু ওলটপালট অবস্থায় রয়েছে। সব কিছু চোরেরা লুট করে নিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এক জরুরি বৈঠকে বসেন ব্যবসায়ী নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক খান আহমেদ শুভ, ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবু, জুয়েলারী মালিক সমিতির সভাপতি চন্দন ভৌমিক, মার্কেট কমিটির সভাপতি সমরেশ পাল, টাঙ্গাইল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক ভূইঁয়া প্রমুখ।
টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক ভূইঁয়া সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। তবে সকলের সহযোগিতা পেলে মালামাল উদ্ধারে সফল হতে পারবো। এতো বড় শহরে ২-১টি ঘটনা ঘটতেই পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আসলাম খান বলেন, আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি আসামীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধারে। ইতিপূর্বে অনেক ঘটনার আসামীকে ধরা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনারও সুষ্ঠু সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মাহবুব আলম পিপিএম বলেন, একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে এসব চুরি করে থাকে। তাদেরকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে। চুরির এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।